সেনাসদস্যদের বিপন্ন করছেন ট্রাম্প : স্পিকার

38

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানে দায়িত্বরত আমেরিকান সেনাসদস্যদের বিপন্ন করার অভিযোগ উঠেছে। আর এমন অভিযোগ তুলেছেন খোদ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। তার অভিযোগ, যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটিতে মার্কিন কংগ্রেস সদস্যদের সফরের বিষয়টি প্রকাশ্যে সামনে আনার মাধ্যমে সেনাসদস্য ও আইনপ্রণেতাদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছেন ট্রাম্প। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
যুক্তরাষ্ট্রে চলমান আংশিক শাটডাউনের ২৮তম দিনে এমন মন্তব্য করলেন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। এদিনই ট্রাম্প ইঙ্গিত দেন, তিনি কংগ্রেস সদস্যদের ইরাক সফরের চেয়ে বিদ্যমান শাটডাউট কাটিয়ে উঠার প্রতি বেশি নজর দিচ্ছেন। একইসঙ্গে তিনি স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির আসন্ন ব্রাসেলস ও আফগানিস্তান সফর স্থগিতের ঘোষণা দেন। শাটডাউন সমাধানে তাকে দেশে থেকে আলোচনার পরামর্শ দিয়েছেন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব সারাহ স্যান্ডার্স এক টুইটে ট্রাম্পের দেওয়া একটি চিঠি প্রকাশ করেছেন। ট্রাম্প সেখানে বলেন, ‘আমার মনে হয় এই সময় আপনি (ন্যান্সি পেলোসি) ওয়াশিংটনে থেকে আমার সঙ্গে সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলুন এবং শাটডাউন পরিস্থিতির অবসান ঘটান। সেটাই ভালো হবে।’ পেলোসির সফরকে ‘গণসংযোগ সফর’ আখ্যা দিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, পেলোসি চাইলে বাণিজ্যিক কোনও বিমানে করে যেতে পারেন। এরপর পৃথক ঘোষণায় হোয়াইট হাউস জানায়, সুইজারল্যান্ডের দাভোসে আগামী অর্থনৈতিক সম্মেলনেও মার্কিন প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছেন না ট্রাম্প।
ট্রাম্প আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন যে তিনি সম্মেলনে যোগ দেবেন না। এবার প্রতিনিদল পাঠানোর সিদ্ধান্ত থেকেও সরে আসলেন। তবে স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সফর নিয়ে আগে থেকে কোনও আভাস মিলছিলো না। উল্লেখ্য, ৭৮ বছরের ন্যান্সি পেলোসি ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য থেকে নির্বাচিত ডেমোক্র্যাট সদস্য। এমন এক সময়ে তিনি মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার নির্বাচিত হন, যখন মেক্সিকো সীমান্তে ট্রাম্পের দেয়াল নির্মাণে তহবিল বরাদ্দ নিয়ে বিবাদের জেরে যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি কর্মকান্ডে আংশিক অচলাবস্থা চলছে।
সীমান্ত দেয়াল নির্মাণের বিরোধিতা করে ডেমোক্র্যাট সিনেটররা এ খাতে বাজেট বরাদ্দ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। অন্যদিকে সীমান্ত দেয়াল নির্মাণে তহবিল না পেলে অন্যান্য বাজেট বরাদ্দের কাগজপত্রে স্বাক্ষর না করার ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। এমন পরিস্থিতিতেই ২০১৮ সালের ২১ ডিসেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি কাজকর্মে শাটডাউন বা অচলাবস্থা শুরু হয়।