সেনানিবাসে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা

29

সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৩১৬ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে শুভেচ্ছা স্মারক দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ উপলক্ষে অনুষ্ঠানে জিওসি ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও চট্টগ্রাম এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল এসএম মতিউর রহমান বলেন, ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর জন্ম হয়। একাত্তরের এই দিনে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা শত্রূর বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে আক্রমণ রচনা করেছিলেন যা আমাদের বিজয়কে ত্বরান্বিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তাই ২১ নভেম্বর আমাদের জাতির এবং সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি সদস্যের কাছে একটি গৌরবোজ্জ্বল ও অনুপ্রেরণার দিন।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। তারই নির্দেশনায় ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’র আওতায় বাহিনীগুলোর জনবল বৃদ্ধি, কমান্ড সম্প্রসারণ, আধুনিক প্রযুক্তির যুদ্ধ সরঞ্জাম সংযুক্তি, যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন এবং উন্নত আবাসন ব্যবস্থাসহ বিবিধ উন্নয়ন ও কল্যাণমূলক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। খবর বাংলানিউজের
এছাড়াও দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখন্ডতা রক্ষা এবং পার্বত্য অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা, সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন, সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনা, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ইত্যাদি কাজে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিশেষ করে সেনাবাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হিসেবে ২৪ পদাতিক ডিভিশন যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরেন তিনি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিতি ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চল রিয়ার অ্যাডমিরাল এম আবু আশরাফ এবং এয়ার অফিসার কমান্ডিং এয়ার কমডোর মু. কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী, ওয়াসিকা আয়শা খান ও খদিজাতুল আনোয়ার সনি, কূটনীতিক, ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানের বিভিন্ন পর্যায়ে সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।