সেখানে গিয়ে তাদের হত্যা করুন

22

ফিলিপাইনের একটি মাদক কবলিত এলাকায় নতুন পুলিশ প্রধান নিয়োগ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুয়ার্তে। ওই নিয়োগের পর সেখানে অঞ্চলটিতে গিয়ে অপরাধীদের হত্যা করতে পুলিশের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার রাতে এক অনুষ্ঠানে দুয়ার্তে বলেন, ‘ব্যাকলোদ শহর এখন মারাত্মকভাবে মাদক আক্রান্ত। সেখানে আমি পুলিশ প্রধান হিসেবে জোভি এসপেনিদো-কে নিয়োগ দিয়েছি। তাকে আমি বলেছি, সেখানে যাও তুমি সবাইকেই (মাদক সংক্রান্ত অপরাধী) খুন করতে পার। কু… বাচ্চাদের মেরে ফেলতে শুরু কর। তারপর আমরা দুইজনই নাহয় জেলে যাবে।’ দুয়ার্তে-র নিয়োগপ্রাপ্ত নতুন ওই কর্মকর্তার নাম লেফটেন্যান্ট কর্নেল জোভি এসপেনিদো।
তিনি নিগ্রোস দ্বীপের পুলিশ প্রধান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। ওই নিয়োগের পরই সেখানকার মাদক কবলিত ব্যাকলোদ এলাকার ব্যাপারে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করেন দুয়ার্তে। ইতোপূর্বে মাদকবিরোধী অভিযানে ফিলিপাইনের দুই শহরের মেয়রকে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে নিগ্রোস দ্বীপের নবনিযুক্ত পুলিশ প্রধানের বিরুদ্ধে। এখন তিনি ব্যাকলোদ শহরে সরকারের মাদকবিরোধী যুদ্ধে নেতৃত্ব দেবেন। স্প্যানিশ আমলের শহরটিতে প্রায় ৫ লাখ ৬০ হাজার মানুষের বসবাস। ২০১৬ সালের জুলাই মাস থেকে ফিলিপাইনে মাদকবিরোধী অভিযানে পুলিশ চার হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে। পুলিশের দাবি, গ্রেফতার করতে গেলে অপরাধীরা পাল্টা হামলা চালায়।
তবে মানবাধিকার কর্মীদের অভিযোগ, নিহতদের অনেককে ধরে মেরে ফেলা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ অবশ্য এমন অভিযোগ অস্বীকার করছে। ফিলিপাইনের একজন আইনজীবী দুয়ার্তেসহ সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ সংঘটনের অভিযোগ তুলেছেন। একইসঙ্গে সরকারের বিরুদ্ধে ‘অপরাধীদের হত্যার নীতি’ গ্রহণের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তবে সমালোচনার পরও মাদকবিরোধী অভিযানে হত্যাকান্ড অব্যাহত রাখার অবস্থান থেকে পিছু হননি দুয়ার্তে। সন্দেহভাজন মাদক ব্যবসায়ীদের প্রকাশ্যে হত্যার নির্দেশ দেওয়ায় বিচারের মুখোমুখি হওয়ার সতর্র্কতা সত্তে¡ও দুয়ার্তে বারবারই আন্তর্জাতিক স¤প্রদায় ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে উপহাস করেছেন। ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ঘোষণা দিয়েছেন, মানবাধিকার নিয়ে তার কোনও উদ্বেগ নেই। মাদক ব্যবসায়ীরা গ্রেফতারে বাধা দিলে হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।