সুবর্ণচরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার আরও ২

39

ধানের শীষে ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গোয়েন্দা পুলিশ গত মঙ্গলবার রাতে ও গতকাল বুধবার দুপুরে কুমিল্লা ও লক্ষীপুরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। এদিকে গতকাল বুধবার দুপুরে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তিন সদস্যের একটি কমিটি নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে আসেন। তারা হাসপাতালে ওই নারীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ জানান, বুধবার দুপুরে কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার মহেষপুরের একটি ইটভাটা থেকে মামলার প্রধান আসামি সোহেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সে মধ্য বাগ্যা গ্রামের মৃত ইসমাইলের ছেলে। এর আগে মঙ্গলবার রাতে লক্ষীপুরের রামগতি উপজেলার আজাদনগর এলাকা থেকে মামলার তিন নম্বর আসামি স্বপনকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সে চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্য বাগ্যা গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে।
গত সোমবার মামলার ছয় নম্বর আসামি বাদশা আলম ওরফে বাসুকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।
এদিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা তদন্তে বুধবার দুপুরে মানবাধিকার কমিশনের তিন সদস্যের একটি কমিটি নোয়াখালী আসে। কমিটির সদস্যরা হাসপাতালে ওই নারীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। কমিটির প্রধান মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) আল-মাহমুদ ফয়জুল কবীর জানান, ‘ভুক্তভোগীর সাক্ষ্য ও ডাক্তারি পরীক্ষার প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর আমাদের তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনে জমা দেবো’।
এ সময় আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তিন সদস্যের অন্য একটি তদন্ত দল হাসপাতালে এবং ঘটনাস্থলে যান। বিকাল ৪ টায় পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের এডিশনাল ডিআইজি মোহাম্মদ ফয়েজ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন।
মামলার বাদী ওই নারীর স্বামী অভিযোগ করেন, সন্ত্রাসীরা তার স্ত্রীকে পাংখারবাজার ১৪নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকায় ভোট দিতে জোড় করে। তার স্ত্রী ধানের শীষে ভোট দিবে জানালে তারা আমাদের দেখে নিবেন বলে হুমকি দেয়। পরে রাত ১২ টায় কয়েকজন লোক পুলিশ পরিচয় দিয়ে দরজা খুলতে বলে। পরে ১৫-১৬ জন সন্ত্রাসী ধানের শীষে ভোট দেওয়ায় তাদের গালাগালি করে। অস্ত্র দেখিয়ে তার স্ত্রীকে ঘরের বাইরে নিয়ে যায় এবং সবাই মিলে ধর্ষণ ও বেদম মারধর করে। পরে ওই নারীকে গলা কেটে হত্যারও চেষ্টা করে। সন্ত্রাসীরা চলে যাওয়ার পর পরের দিন প্রতিবেশীদের সহায়তায় ওই নারীকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সোমবার রাতে ৯ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন ওই নারীর স্বামী। মামলার ভিত্তিতে পুলিশ বাদশা আলম নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে।