সুন্নিয়তের জন্য নিবেদিত ছিলেন আল্লামা শামসুল

76

আল্লামা সৈয়দ শামসুল হুদা (র.) এর দু’দিনব্যাপী ২৩তম বার্ষিক ওরশ ব্যাপক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে গত ১৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম দিনের কর্মসূচিতে ছিল, ব্লাড গ্রুপ নির্ণয়, রক্তদান, ফ্রি চিকিৎসাসেবা ও বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ ও গরিব শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ। শনিবার সমাপনী দিনে ছিল খতমে কুরআন, খতমে বুখারিসহ বিভিন্ন খতম, হুজুরের জীবনী আলোচনা, মিলাদ মাহফিল ও আখেরি মুনাজাত। মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন সৈয়দবাড়ি দরবার শরিফের সাজ্জাদানশিন পীর আল্লামা সৈয়দ মছিহুদ্দৌলা। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আল্লামা মুফতি ওবাইদুল হক নঈমী। মাহফিলে বক্তারা বলেন, শরিয়ত-তরিকতের খেদমতে অগ্রণী ত্যাগী প্রাণপুরুষ ছিলেন শিক্ষাবিদ আল্লামা সৈয়দ শামসুল হুদা (রহ)। ইলমে দ্বীনের প্রচার- প্রসার এবং ইসলামের মূলধারা সুন্নিয়তের প্রচারে নিবেদিত থেকে তিনি অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। আল্লামা মুফতি ওবাইদুল হক নঈমী বলেন, আল্লামা সৈয়দ শামসুল হুদা (রহ) ৩৭বছর ধরে চট্টগ্রামের ছোবহানিয়া আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পদে অধিষ্ঠিত থেকে সততা ও ত্যাগের অনন্য স্বাক্ষর রাখেন। মাহফিলে অতিথি ও আলোচক ছিলেন আল্লামা মুহাম্মদ আবদুল মান্নান, আল্লামা শায়খ কাজী মুহাম্মদ মুঈন উদ্দিন আশরাফি, হাফেজ সোলাইমান আনসারী, জমিয়তুল ফালাহর পেশ ইমাম আল্লামা নূর মোহাম্মদ সিদ্দিকী, আল্লামা শাহ নূর মোহাম্মদ আলকাদেরী, হোসাইন আহমদ ফারুকী, শাহজাদা মাওলানা সৈয়দ তৌছিফুল হুদা রাকিব, মাওলানা আবদুল শাকুর আনসারী, অধ্যক্ষ আল্লামা তৈয়ব আলী, মাওলানা জসিম উদ্দিন আলকাদেরী, রাজনীতিবিদ এম এ ওহাব, মাস্টার আবুল বশর, চেয়ারম্যান এম এ হালিম, জহির আহমদ চৌধুরী, কাজী নাজিম উদ্দিন, আলহাজ জিয়াউদ্দিন জিয়া, মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, আবু আহমদ সওদাগর, এম মনসুর সিকদার। শেষে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও সমৃদ্ধি, বিশ্বের নিপীড়িত মানবতার পরিত্রাণ এবং দেশ ও বিশ্ববাসীর শান্তি-কল্যাণ কামনায় মুনাজাত পরিচালনা করেন আল্লামা সৈয়দ মছিহুদ্দৌলা। খবর বিজ্ঞপ্তির