সুদীপ্ত হত্যায় আরেকজন গ্রেপ্তার

57

চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত বিশ্বাস হত্যাকান্ডে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। হত্যাকান্ডের একবছর পরও জানা গেল না সুদীপ্ত হত্যার রহস্য। গতকাল সোমবার বিকালে নগরীর দেওয়ানহাট এলাকা থেকে জিয়াবুল হক ওরফে ফয়সাল (৩৫) নামে এই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।
আটক যুবক সুদীপ্তকে হামলায় জড়িতদের পথ দেখিয়ে যাওয়া মোটরসাইকেলের চালক ছিলেন বলে নগর পুলিশের একজন কর্মকর্তার ভাষ্য। খবর বিডিনিউজের
ফয়সালের বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআইর পরিদর্শক সন্তোষ চাকমা বলেন, সুদীপ্ত হত্যায় সে সরাসরি জড়িত ছিল বলে আগে গ্রেপ্তার হওয়া মোক্তার আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে জানিয়েছেন।
মামলাটি এর আগে তদন্ত করেছিল সদরঘাট থানা পুলিশ। ওই থানার একজন কর্মকর্তা বলেছিলেন, হত্যাকাÐের দিন যে মোটরসাইকেল নিয়ে তিন যুবক প্রথমে দক্ষিণ নালাপাড়ায় সুদীপ্তর বাসার কাছে গিয়েছিলেন, সে মোটরসাইকেলের চালক ছিলেন ফয়সাল। ওই মোটরসাইকেলের মাঝে ছিলেন জাহিদ নামে একজন আর পেছনে ছিলেন মোক্তার।
সন্তোষ চাকমা জানান, হত্যাকাÐে প্রায় ১৫টি সিএনজি অটোরিকশা ব্যবহৃত হয়েছিল এরমধ্যে একটি জব্দ করা হয়েছে। ওই অটোচালক আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে তার বিষয়ে আর কিছু বলতে রাজি হননি তদন্ত কর্মকর্তা।
নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবউদ্দিন আহমেদ জানান, বিকালে মহানগর হাকিম সরোয়ার জাহানের আদালতে অটোচালক জবানবন্দি দেন।
তদন্ত কর্মকর্তা সন্তোষ জানান, এই হত্যাকান্ডে বিভিন্ন সময়ে ১১ জন গ্রেপ্তার হয়েছিল। তাদের মধ্যে পাপ্পু নামে একজন ছাড়া বাকি সবাই জামিনে আছে।
চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজের শিক্ষার্থী সুদীপ্ত নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমুর সমর্থক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর সকালে দক্ষিণ নালাপাড়ার বাসা থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় নগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সুদীপ্তকে। এ ঘটনায় সুদীপ্তর বাবা সদরঘাট থানায় অজ্ঞাত সাত-আটজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নগরীর লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুমের অনুসারীরাই সুদীপ্তকে পিটিয়ে মেরেছে বলে শুরু থেকেই অভিযোগ করে আসছে নগর ছাত্রলীগের একাংশ।
এই হত্যাকান্ডের অন্যতম সন্দেহভাজন আইনুল কাদের নিপুসহ বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তার ১১ জনের সবাই এই মাসুমের অনুসারী। যাদের মধ্যে পাপ্পু ছাড়া ১০ জন জামিনে ছাড়া পেয়েছেন। সদরঘাট থানা পুলিশের হাত ঘুরে বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে পিবিআই।