সীমান্তে স্থলমাইন স্থাপনের বিষয় অস্বীকার বিজিপি’র

10

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের মিয়ানমার অংশে স্থলমাইন পুঁতে রাখার অভিযোগ অস্বীকার করেছে মিয়ানমার। গতকাল সোমবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) এর রিজিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় বিজিবি’র কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজেদুর রহমান বলেন, সীমান্তে স্থলমাইন ও আইইডি স্থাপনের বিষয়টি মিয়ানমার অস্বীকার করেছে। কিন্তু সেগুলো সরিয়ে নিতে বিজিবি’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। তবে দেশে ফিরে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে বলে বৈঠকে উল্লেখ করেছেন তারা (বিজিপি)।
সোমবার টেকনাফ সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন ‘সেন্ট্রাল রির্সোট’ এর সম্মেলন কক্ষে দুই দেশের প্রতিনিধি দলের মধ্যে দিনব্যাপী এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজেদুর রহমান বলেন, উভয় দেশের মধ্যে সু-সম্পর্ক বজায় রাখা, ইয়াবাসহ সব ধরণের মাদক, মানব পাচার ও চোরাচালান প্রতিরোধে দুই দেশ ঐক্যমত পোষণ করেছে। এছাড়া সীমান্ত সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। এসব বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্বাক্ষর হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে ইয়াবা পাচার ঠেকাতে তাদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। জবাবে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়। তারা জানিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী ইয়াবা পাচারে জড়িত, তাই মিয়ানমার সরকার তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
বিজিবি প্রতিনিধিদলের প্রধান আরও বলেন, সীমান্তে গুলি বর্ষণের বিষয়ে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতাসহ সীমান্তে সশস্ত্র গ্রুপের কার্যক্রম বন্ধে এক সঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে দুই দেশ।
উল্লেখ্য, বৈঠকে অংশ নিতে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী ১ নম্বর বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) এর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মিং টুই এর নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের প্রতিনিধিদল সকাল সাড়ে ৯টায় টেকনাফ-মিয়ানমার ট্রানজিট ঘাটে এসে পৌঁছে। সেখানে থেকে সেন্ট্রাল রির্সোট সম্মেলন কক্ষের বৈঠকে যোগ দেয় তারা। বৈঠকে বিজিবি’র পক্ষে নেতৃত্ব দেন কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজেদুর রহমান।