সীতাকুন্ডে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু নবজাতকের

17

সীতাকুন্ডের ভাটিয়ারি স্টেশন রোড এলাকায় বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স এসোসিয়েশন (বিএসবিএ) হাসপাতালে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত নবজাতক চিকিৎসাসেবা না পাওয়ায় মৃত্যুবরণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত শনিবার রাত দুইটায় ভাটিয়ারি মাদামবিবিরহাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে এবং রবিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চমেক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করে শিশুটি। একই ঘটনায় আহত হন নবজাতকের পিতা ও নানী। তাদের নাম-ঠিকানা জানা সম্ভব হয়নি।
জানা গেছে, শনিবার রাতেই
মিরসরাই উপজেলার বারৈয়ারহাট পৌরসভার একটি হাসপাতাল থেকে সদ্য নবজাতককে উন্নত চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের পরামর্শে নেওয়া হচ্ছিল চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে। একপর্যায়ে সীতাকুন্ডের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মাদামবিবিরহাট এলাকায় নবজাতক ও তার স্বজনদের বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সকে পিছন থেকে ধাক্কা দেয় একটি লরি। এতে অ্যাম্বুলেন্সের পিছনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। নবজাতকসহ তার নানী ও পিতা গুরুতর আহত হন।
এ সময় গভীর রাতে মহাসড়কে নবজাতককে নিয়ে তার আহত নানী ও পিতা দিশাহারা হয়ে পড়েন। তখন বাজারের দারোয়ান থেকে খবর পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিক মামুন ও ইউপি মেম্বার সাহেদ ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তারা শিশুটিকে মোটরসাইকেলযোগে ভাটিয়ারি স্টেশন রোড এলাকায় অবস্থিত বিএসবিএ হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু ডাক্তার, নার্স কেউই নবজাতককে ধরেও দেখলেন না এবং তার সাথে থাকা আহতদেরও চিকিৎসা সেবা দেননি বলে অবিযোগ করেন তারা।
পরে মামুন ও সাহেদ বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসকে জানান। এরপর ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা নবজাতকসহ আহতদের চমেক হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে রবিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চমেক হাসপাতালে নবজাতকটি মারা যান। হাইওয়ে পুলিশ লরি ও অ্যাম্বুলেন্সটি থানায় নিয়ে যান।
সাহেদ মেম্বার বলেন, বিএসবিএ হাসপাতালে যদি কর্তব্যরত ডাক্তার নবজাতক শিশুটির চিকিৎসা সেবা দিতেন, তাহলে রক্তক্ষরণ বন্ধ হত। এতে হয়তো শিশুটি বেঁচেও যেত। মাদাম বিবিরহাট থেকে দীর্ঘপথ চমেক হাসপাতালে নিয়ে যেতে সময়ক্ষেপন হওয়ায় রক্তক্ষরণে শিশুটি মারা গেছে।
সীতাকুন্ডের বার আউলিয়া হাইওয়ে পুলিশের এএসআই জসিম বলেন, গভীর রাতেই স্থানীয় সাংবাদিক মামুন ও সাহেদ মেম্বার আহত নবজাতকের পাশে দাঁড়িয়ে মানবতার পরিচয় দেন। বিএসবিএ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অপারগতায় শিশুটির মৃত্যু হতে পারে বলে আমি মনে করি।