সীতাকুন্ডে লেগুনা ও বাসের সংঘর্ষ ছাত্রীসহ আহত ৬

40

সীতাকুন্ডে শ্রমিক নেতাদের দাপটে লেগুনা, সেইফলাইন ও বাস চালকরা বেপরোয়া বলে অভিযোগ যাত্রীদের। ইতিমধ্যে ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে চালকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা করা হলেও এসব চালকদের সামলানো যাচ্ছে না।
গতকাল রবিবার বিকালে উপজেলার ফৌজদার পুলিশফাঁড়ির সামনে সেইফলাইন পরিবহন ও ৪ নং বাসের সাথে প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে সংঘর্ষ হয়। এতে এক ছাত্রীসহ ৬ যাত্রী আহত হন। তাদেরকে উদ্ধার করে ফৌজদারহাট ফাঁড়ির পুলিশ চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেন। আহতদের নাম, পরিচয় পুলিশ তাৎক্ষণিক জানাতে পারেননি।
জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অলংকার টু সীতাকুন্ড অংশে লেগুনা, সেইফলাইন ও ৪নং, ৮নং বাস সার্ভিসের চালকদের বেপরোয়াভাব রোধ করা যাচ্ছে না। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। চালকদের এ দৌরাত্ম দূর করা, সড়কে শৃংখলা ফেরাতে সীতাকুন্ড ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে চালকদের নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা করা হয়। এরপরও তারা মহাসড়কে ঘটাচ্ছেন দুর্ঘটনা।
গতকাল রবিবার ফৌজদারহাট পুলিশফাঁড়ির সামনে অলংকার থেকে ছেড়ে আসা একটি লেগুনা গাড়ির পিছনে ধাক্কা দেয় ৪ নং মিনি বাস। এতে লেগুনাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় এক ছাত্রীসহ ৬ জন যাত্রী আহত হন।
চাকরিজীবী আবুল কাসেম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি চাকরির কারণে প্রতিদিন চট্টগ্রাম শহরে যাওয়া-আসা করি।বড় বাস না পেলে লেগুনা, সেইফলাইন পরিবহনে চড়ে যাতায়াত করতে হয়। এ সময় এসব পরিবহনের চালকরা বেপরোয়া হয়ে গাড়ি চালান। যাত্রীরা প্রতিবাদ করলেও তা কাজে আসে না। চালক-শ্রমিকদের কথা হল, তারা বিপদে পড়লে, সহযোগিতা করবেন নেতারা।
শ্রমিক নেতাদের দাপটে চালকরা বেপরোয়া- এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা হিউম্যান হলার বাস-মিনিবাস সমিতির যুগ্ম সাধারণ সস্পাদক মো. খোরশেদ বলেন, আমরা কেন চালকদের বেপরোয়া গাড়ি চালাতে বলবো? তবে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হলে আমরা চালকদের সহযোগিতা করি।
ফৌজদারহাট পুলিশফাঁড়ির টিআই রফিক আহাম্মদ মজুমদার বলেন, আমরা চালকদের নিয়ে কর্মশালা করেছি, তাদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। তারপরও চালকরা কেন এত বেপরোয়া বুঝতে পারি না।
গতকাল আমার ফাঁড়ির সামনে প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে লেগুনা ও ৪নং বাসের সংঘর্ষে ৬ জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেছি। পুলিশের পাশাপাশি যদি চালক-শ্রমিক নেতারা প্রশিক্ষণ কর্মশালা করতেন, তাহলে চালকরা আরও সচেতন হতেন।