সীতাকুন্ডে ভাড়া নৈরাজ্য নিয়ে প্রশাসনের ভ্রাম্যামান আদালত

40

ঈদ পরবর্তী মহাসড়কে ভাড়া নৈরাজ্য ও গাড়ি সংকটের বিষয়টি নিয়ে অবশেষে নড়বড়ে বসেছে উপজেলা প্রশাসন। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যামে নানাবিধ মন্তব্য উপস্থাপনের পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকাল নাগাদ উপজেলার বিভিন্ন বাস স্টপিচসে গিয়ে ভ্রাম্যামান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুল হক। এ সময় ভ্রাম্যামান আদালত উপজেলার ৮নং বাস স্টপিস পৌরসদর ও ৭নং বাস স্টপিস কুমিরা পিএইচপি এলাকায় মনিটিরিং করেন এবং মিনি বাস ও সেইফ লাইন চালক ও সহকারিকে বেশি ভাড়া না নেওয়ার জন্য সতর্ক করেন। একইভাবে বাস ও সেইফ লাইন যাতায়াত করা যাত্রীদের সাথে ভ্রাম্যামান আদালত ভাড়ার বিষয়ে কথা বললে যাত্রী নানাবিধ অভিযোগ তুলে ধরেন। অভিযোগের মধ্যে ঈদ পরবর্তী ভাড়া নৈরাজ্য, অদক্ষ চালক ও সহকারি কর্তৃক প্রতিনিয়ত যাত্রী হয়রানিসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। এরই প্রেক্ষিতে ভ্রাম্যামান আদালত পরবর্তীতে এসকল গাড়ি চালক ও সহকারিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা আরোপ করবে এবং আগামি সপ্তাহ থেকে কোন গাড়ি চালক যদি লাইসেন্স বিহীন গাড়ি চালায়, তাহলে তাৎক্ষনিক ভ্রাম্যামান আদালতের জরিমানা ও কারগারে পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন। ভাড়া নৈরাজ্য নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের মনিটরিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে বেসরকারি চাকুরিজীবি জাফর আহাম্মেদ বলেন, ঈদের এক সপ্তাহ পর হলেও উপজেলা প্রশাসনের মহতি এ উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানায়। একইভাবে ভাড়া নৈরাজ্যর বিষয়ে মনিটরিং চলমান রেখে গাড়ি চালকদের লাইসেন্স, চালক ও চালকের সহকারিদের নিয়ে অনন্ত বছরে দুই বার বিভিন্ন বিষয়ে কর্মশালা করলে কিছুটা হলেও মহাসড়কে শৃঙ্খলা আসবে বলে আমি মনে করি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি ও নিবার্হী ম্যাজিট্রেট সৈয়দ মাহবুবুল হক বলেন, আসলে বিষয়টির ব্যাপারে আমাদের কাছে তেমন কোন অভিযোগ আসেনি, তারপর বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা থেকে চালকের বাড়তি ভাড়া নেওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে মূলত আজকের ভ্রাম্যামান আদালতের মনিটরিং। আগামি আমরা চালকদের লাইসেন্স নিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করবো। তখন যদি কোন চালক ড্রাইভিং লাইসেন্স না পায় তাৎক্ষনিক আইনগত ব্যবস্থা নিব।