সীতাকুন্ডে পাঁচদিনের ব্যবধানে মা-মেয়ের মৃত্যু, এলাকায় উদ্বেগ

56

সীতাকুন্ডের পৌর সদরে বৃদ্ধা মায়ের মৃত্যুর পাঁচদিন পর তার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। করোনা ভাইরাসের মহামারীর মধ্যে গত মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় প্রশাসন নিহত ওই নারীর পরিবারের সদস্যদের ‘সামাজিক দূরত্ব’ বজায় রাখতে বলায় এলাকাবাসীর মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। তবে ৫৫ বছর বয়সী ওই নারীর মরদেহ গ্রহণকারী হাসপাতালের চিকিৎসকদের ধারণা, ‘হৃদরোগে’ তার মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, নিহত ওই নারীর মা (৭৫) পঁাচদিন আগে বার্ধক্যজনিত রোগে মারা গেছেন। তিনি হাসপাতালে থাকাকালে মেয়ে তারা দেখাশোনা করেছিলেন। এর পাঁচদিন পরেই তার মৃত্যু হওয়া এলাকাবাসীকে উদ্বিগ্ন করেছে।
সীতাকুন্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন বলেন, নিহত নারীকে গতরাত ৮টার দিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। উনার স্বজনরা জানিয়েছেন তার জ্বর ছিল। হঠাৎ করে তার বুকে ব্যথা ওঠে। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়া উচিত নয়। উনার যে বয়স তাতে যে কোনো সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন।
সীতাকুন্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন রায় বলেন, এক নারী মারা গেছেন। উনার মা কিছুদিন আগে মারা গেছেন। তিনি মার কাছে ছিলেন। মা মারা যাওয়ার পর তিনি বাবার বাড়িতে ছিলেন। গতরাতে মারা যাওয়া নারীর পরিবারের সদস্যদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ওই নারীর মা দীর্ঘদিন অসুস্থ অবস্থায় নগরীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার শ্বাসকষ্ট ছিল। এসময় মেয়ে হিসেবে ওই নারী মায়ের সেবা শুশ্রুষা করেন। পাঁচদিন আগে মা মারা গেলে এরপর থেকে তিনি উপজেলার একটি ইউনিয়নে বাবার বাড়িতে ছিলেন। সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে পৌর সদরের নিজ বাড়িতে নেওয়া হয়।