সীতাকুন্ডে নার্সারির ছাত্রকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণে বাধা

31

সীতাকুন্ড উপজেলার বাড়বকুন্ড এলাকায় এক কিন্ডার গার্টেন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ৫ বছরের ছাত্রকে পরীক্ষা দিতে না দিয়ে, পরীক্ষা শেষ হওয়া পর্যন্ত রুমে বসিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, বাড়বাকুন্ড ড.মুহাম্মদ হোসেন একাডেমীতে ২৭ এপ্রিল মো. ফারহাদুল সেলিম সিফাত নামে নার্সারি ছাত্রের সাথে এ ঘটনা ঘটে। ছাত্রের পিতা মো. সেলিম ইউএনও ও শিক্ষা অফিসার বরাবর এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিভাবক মো. সেলিম বলেন, ‘স্কুলের নার্সারি শ্রেণীতে ৫০ জনের মত বাচ্চাকে প্রতি সেমিস্টারে ১-৩০ ও ৩১-৫০ দুইটি শ্রেণীতে পরীক্ষা নিয়ে থাকেন শিক্ষকরা। আমার বাচ্চার রোল নাম্বার ৪২ তাই তাকে আমি নির্দিষ্ট ২য় কক্ষে বসিয়ে দিয়ে ফিরে আসি। কিছুক্ষণ পর বাচ্চা কাঁদতে-কাঁদতে শ্রেণী কক্ষের বাইরে ফিরে আসে এবং বলে তাকে প্রথম রুমে বসিয়ে শ্রেণী কক্ষ পরিবর্তন করে দেয় শিক্ষকরা। পরক্ষণে আমি স্কুলে গিয়ে শ্রেণী শিক্ষকের নিকট জানতে চাইলে এটি তাদের মর্জি বলে তারা জানান। অন্যদিকে আমার ছোট বাচ্চাটি বায়না ধরে সে প্রত্যেক বার যেখানে পরীক্ষা দেয় সেখানেই সে পরীক্ষা দিবে। আমি শ্রেণী শিক্ষক ও প্রিন্সিপালকে বার বার ছোট বাচ্চার আবদার রাখার জন্য বললেও তারা তাদের জেদ ধরে রাখেন । অন্যদিকে আমার ছোট ছেলেটি বার-বার পরীক্ষা দেওয়ার জন্য খাতা নিতে চাইলেও তাদের বিন্দু মাত্র মন গলেনি। অন্যত্র পরীক্ষার হলে আমার ছেলে অসহায়ের মত বসে ছিল।
অন্য ছাত্র-ছাত্রীরা পরীক্ষা দিলেও খাতা না দেওয়ার কারণে আমার ছেলে পরীক্ষা না দিয়ে পরীক্ষা শেষে রুম থেকে বেরিয়ে আসে। অন্যদিকে পরীক্ষা দিতে না দিয়ে ছেলের টিসি নিয়ে ছেলেকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন শিক্ষকরা। ছেলের অসহায়ত্ব দেখে আমি নিজেকে সামলাতে না পেরে বাকবিতন্ডায় জড়ায়। আমি ইউএনও এবং শিক্ষা অফিসার বরাবর দরখাস্ত দিয়ে এর প্রতিকার দাবি করি।’ এবিষয়ে স্কুলের প্রিন্সিপালের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন,‘আমরা সিরিয়াল অনুযায়ী ছাত্রদের বসায়। ছাত্রের অভিভাবকের খারাপ আচরণের কারণে সকল অভিভাবক ও শিক্ষকদের সম্মতিক্রমে ছাত্র ফারহাদুল সেলিম সিফাতদের ওই দিনের পরীক্ষা স্থগিত রেখে পরের পরীক্ষায় অংশ নিতে বলি। এতে ছাত্রের পিতা ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন অভিযোগ দায়ের করেন।’
অন্যদিকে স্কুলের অভিভাবকরা জানান,‘ছাত্ররা শিক্ষকের নিকট প্রাইভেট না পড়লে এ ধরনের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অসহায় বাচ্চাটিকে পরীক্ষা দিতে খাতা চাইলে না দিয়ে পরীক্ষার হলে বসিয়ে রাখলে অভিভাবকদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে।’ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন রায় বলেন,‘বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আমি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসকে নির্দেশ দিয়েছি, উনারা কম সময়ের মধ্যে তদন্ত করে আমাকে অবগত করবে।’