সীতাকুন্ডে দুই ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত

92

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে দুইজন ডেঙ্গু রোগীকে শনাক্ত করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। গতকাল মঙ্গলবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জ্বরে নিয়ে চিকিৎসা নিতে যাওয়া দুই ডেঙ্গু রোগিকে সনাক্ত করে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক।
সনাক্ত হওয়া ডেঙ্গু আক্তান্ত রোগীরা হলেন উপজেলার সৈয়দপুর বগাচতর এলাকার নুরুন নবীর ছেলে আমজাদ হোসেন (১৯) ও বাঁশবাড়ীয়া এলাকার সাইফুল ইসলাম।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা ডা. ফরিদ আহাম্মেদ জানান, ‘গত কয়েকদিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গায়ে জ¦র নিয়ে বেশ কিছু নারী-পুরুষ ও শিশু রোগী ভর্তি হন। ভর্তি হওয়া রোগীদের শরীরের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাদের এনএস-১ পজেটিভ এন্টিজেন ফর ডেঙ্গু জ্বরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পরে ডেঙ্গু সনাক্ত রোগীদের আমরা উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছি।

বাড়বকুন্ড বিদ্যুৎ
অফিসে ব্রেকার
বিস্ফোরণ
বিদ্যুৎবিহীন ২০ হাজার গ্রাহক
সীতাকুন্ড প্রতিনিধি
সীতাকুন্ড উপজেলার বাড়বকুন্ড বিদ্যুৎ অফিসে একটি ব্রেকার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিদ্যুৎ অফিসের জানালা, দরজাসহ আসবাবপত্রের ক্ষয়ক্ষতি হলেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। গতকাল মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বাড়বকুন্ড বিদ্যুৎ অফিসে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পর সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বন্ধ থাকে। তবে পল্লী বিদ্যুৎ বারৈয়াহাট থেকে বিদ্যুৎ দিয়ে গ্রাহকদের ভোগান্তি থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করা হয়।
জানা গেছে, উপজেলার বাড়বকুন্ড বিদ্যুৎ অফিস কর্তৃক পরিচালিত পল্লী বিদ্যুৎতের একটি ব্রেকার সকালে বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়ে বিল্ডিংয়ের দরজা, জানালাসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে যায়। ঘটনার পর পর উপজেলার প্রায় ২০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়ে। পরে চট্টগ্রাম জেলা বিদ্যুৎ অফিসের প্রকৌশলীরা এসে দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ৭ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সীতাকুন্ড-শিবপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর জিএম প্রকৌশলী গোলাম আহাম্মদ বলেন, ‘পল্লী বিদ্যুৎ এর এই ব্রেকারটি বাড়বকুন্ড বিদ্যুৎ অফিসের (পিডিবি) স্থাপিত। উনারাই এটার দেখভাল করেন। মঙ্গলবার সকালে হঠাৎ এটি বিস্ফোরিত হয়। ঘটনার পর পর আমরা বারৈয়ারহাট থেকে বিদ্যুৎ বিতরণ করি। ব্রেকারটি ২০১৫ সালের দিকে লাগানো। এটির আনুমানিক মূল্য ৪৫ লক্ষ টাকার মতো হবে’।
বাড়বকুন্ড বিদ্যুৎ অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ সিরাজ কবির বলেন, ‘আমি বাড়বকুন্ডে যোগদান করেছি গত কয়েকদিন আগে। বিস্ফোরিত ব্রেকার কত সালে স্থাপিত হয়েছে আমি জানি না এবং এটা কেন বিস্ফোরি হলো বিষয়টি খতিয়ে দেখবো। আর ব্রেকার বিস্ফোরিত হয়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হওয়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করছি’।