সীতাকুন্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অংশে অত্যাধুনিক যন্ত্র ব্যবহার

173

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুন্ড অংশে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারে কমছে দুর্ঘটনা ও বাড়ছে চালকদের সচেতনতা। গত কয়েক এক সপ্তাহ ধরে চলা এ অভিযানের কারণে মহাসড়কে কমছে সড়ক দুর্ঘটনা। একইভাবে অত্যাধুনিক যন্ত্র ব্যবহারে চালক মাদকসেবি নিনা তাও জানা যাচ্ছে কম সময়ে। এতে মহাসড়কে চলাচলকারি চালকরা ও হচ্ছে সচেনত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিল্কলাইন পরিবহন এসি বাসের চালক শহিদুল্ল্যাহ জানান, আমরা যারা মহাসড়কে দূর পাল্লার বাস ও ট্রাক চালায়,তারা সব সময় মাথা ঠান্ডা করে বাসে থাকা যাত্রীদের কথা চিন্তা করে গাড়ি চালাতে হবে। মহাসড়ক হলো খুব ব্যস্ততম সড়ক, এখানে একটু হের-ফের হলেই দুর্ঘটনা ঘটবে।
আর কিছু চালক গাড়ি চালানো অবস্থা মাদক সেবন করে থাকে, হাইওয়ে পুলিশের এ অত্যাধুনিক যন্ত্রের বিষয়টি গাড়ি চালকদের মাঝে আরো বেশি বেশি প্রচার করলে মাদক সেবি চালকদের অবস্থান শুন্যের কোঠায় চলে আসবে বলে আমি মনে করি।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনা লেগে ছিল। আর এই সড়ক দুর্ঘটনা লাগাম টানতে সরকারের পাশাপাশি হাইওয়ে পুলিশ অত্যন্ত আন্তরিকতার সহিত কাজ করে আসছে। চট্টগ্রাম নগরীর সিটি গেইট থেকে বড় দারোগারহাট ছিল দুর্ঘটনা কবলিত স্থান। যেখানে প্রতিনিয়ত দুই-চারটা দুর্ঘটনা লেগে থাকতো। সেখানে এখন অনেকাংশে দুর্ঘটনা কমে আসছে। দুর্ঘটনা কমানোর জন্য হাইওয়ে পুলিশ নানাবিধ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।
দ্রুত গতির গাড়ি চালানো রোধ করতে স্পিড গানের সাহায্যে গাড়ির গতি নির্ণয় করা, ডোব মেশিনের সাহায্যে গাড়ি চালানো অবস্থায় চালকরা মাদকসেবি কিনা তাৎক্ষণিক অত্যাধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে জানা।
মহাসড়কের কুমিরা এলাকায় দায়িত্বরত কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সাইদুল ইসলাম জানান, সরকার কর্তৃক প্রদত্ত জঋওউ মেশিন গাড়ির নাম্বার প্লেটের সামনে ধরলেই কাগজপত্র হাল নাগাদ দেখা যায় ও স্পিড গানের সাহায্যে দূর থেকে গাড়ির গতি সীমা মাপা যায়। ডোব মেশিনের সাহায্যে কোন চালক মাদকাসক্ত কিনা তা সহজেই নির্ণয় করা যায়।
এ অত্যাধুনিক যন্ত্রাপাতি ব্যবহারের ফলে সড়কে শৃংখলা ফিরিয়ে আনাসহ মাদকাসক্ত ও দ্রুত গতির যানবাহনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে।
গত দুই মাসে ৫০টি সিএনজি টেক্সীর বিরুদ্ধেসহ মোট ৩১৩টি মামলা হয়েছে। ফলে দুর্ঘটনা কমে এসেছে। এছাড়াও গাড়ি চালানো অবস্থা মাদক সেবিদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।