সিপিডি ১০ বছর ধরে শুধু দোষই খুঁজছে : তথ্যমন্ত্রী

30

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকারের ১০০ দিনের কর্মসূচি নিয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) যে কথা বলেছে, তা অনভিপ্রেত ও অগ্রহণযোগ্য। মন্ত্রী বলেন, সিপিডি সরকারের ১০০ দিন পার হওয়ার পর যে রিঅ্যাকশন দিয়েছে এটি অনভিপ্রেত, অগ্রহণযোগ্য। গত ১০ বছর ধরে দোষ খুঁজে বেড়ানো তাদের যে স্বাভাবিক প্রবৃত্তি, এটিও তারই অংশ।
তথ্যমন্ত্রী গতকাল বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, এ সময়ে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা সব মিলিয়ে দুই থেকে আড়াই গুণ বেড়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য, গত ১০ বছর ধরে সিপিডি শুধু দোষই খুঁজে বেড়িয়েছে।
তিনি বলেন, তারা বাজেটের আগে একবার দোষ খোঁজে, বাজেটের পরে একবার খোঁজে, বছরান্তে একবার খোঁজে, সব সময় দোষ খুঁজে বেড়ায়। তাহলে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন জাগে, সিপিডি’র কাজ কি শুধু দোষ খুঁজে বেড়ানো? এই যে অগ্রগতি গত ১০ বছরে হয়েছে, দুঃখজনক হলেও সত্য এটি তারা দেখে না। এটি তাদের দৈন্যতা এবং ব্যর্থতা। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশে গত ১০ বছরে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশ স্বল্প আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। মানুষের মাথাপিছু আয় তিনগুণের চেয়েও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে ৬০০ ডলার ছিল, যা এখন ২০০০ হাজার ডলারে পৌঁছেছে।
তিনি বলেন, আজ সমগ্র পৃথিবী দেখছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং এর প্রশংসা করছে। গত ১০০ দিনে সরকার অনেক কাজ করেছে, বিশেষ করে অর্থনৈতিক উন্নয়ন। অথচ সিপিডি এগুলো দেখতে পাচ্ছে না। এটি তাদের ব্যর্থতা। তবে আমরা আশা করবো, সিপিডি তাদের ব্যর্থতা কাটিয়ে সরকার যে অগ্রগতি ও উন্নয়ন করছে, সেটির দিকে দৃষ্টি দেবে।
বিএনপির সংসদে যাওয়া নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি গত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেও সংসদে যাচ্ছে না। একটি দল হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য যে ধরনের উদ্যোগ ও আয়োজনের দরকার ছিল, বিএনপি সেটি করেনি। তারা যদি সঠিকভাবে কাজ করতো, নমিনেশন বাণিজ্য যদি না হতো, তারা আরও বেশি আসন পেতে পারতো।
তিনি বলেন, তারা নির্বাচিত হওয়ার পর বলছে সংসদে যাবে না, শপথ নেবে না বলছে, এটি জনগণের প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশ ছাড়া আর কিছু নয়। এটি রাষ্ট্রের প্রতিও অবজ্ঞা প্রকাশ।
হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করা মহাপরিকল্পনার এটি একটি অংশ। গত নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করেছিল নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্যে। আর এখন যে সংসদে তারা শপথ গ্রহণ করবে না বলছে, এটিও গণতন্ত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করার, গণতন্ত্রের যাত্রাকে ব্যাহত করার ষড়যন্ত্রের অংশ। তবে এতে গণতন্ত্র ব্যাহত হবে না, গণতন্ত্রের যে অব্যাহত অভিযাত্রা এটি বজায় থাকবে। বিএনপি নিজেকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। বাসস