রেকর্ড ৯০টি ফরম বিক্রি, মেয়রের আনুকুল্যের প্রত্যাশায় দৌড়-ঝাঁপ

39

দীর্ঘ ৮ বছর পর বহূল প্রত্যাশিত সিজেকেএস কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনকে উপলক্ষ করে সরগরম হয়ে উঠেছে এম এ আজিজ স্টেডিয়াম চত্বর। ইতোমধ্যেই মনোনয়ন পত্র বিক্রি শেষ হয়েছে। দু’দিনে মোট ৯০টি মনোনয়ন পত্র কিনেছেন যা সিজেকেএস নির্বাচনের ইতিহাসে একটি রেকর্ড। গত বার ছাড়া আগে অনেকবার সিজেকেএস নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু এত ব্যাপক সংখ্যায় মনোনয়ন পত্র কেনার হিড়িক আগে কখনো দেখা যায় নি। একজন একাধিক পদে ফরম কিনেছেন। তবে ফরম জমা দেয়ার পরই বোঝা যাবে কারা কারা নির্বাচন করছেন। স্টেডিয়াম পাড়ায় জোর গুঞ্জন চলছে-মেয়র মহোদয় অর্থাৎ সিজেকেএস সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন এর আশীর্বাদ ছাড়া কেউ প্রার্থী নাও হতে পারেন। সে লক্ষ্যে সিজেকেএস’র বর্তমান কমিটির কর্মকর্তারা ছাড়াও নতুন অনেক কাউন্সিলর সারাক্ষণ ঘুরঘুর করছেন মেয়রের চারপাশে।
বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী প্রয়াত সংগঠক ইউসুফ গনি চৌধুরীর সন্তান তানভির আহমেদ চৌধুরী ছাড়া সিজেকেএস’র বর্তমান কমিটির সব সদস্যই আবারও কমিটিতে থাকার জন্য ফরম কিনেছেন। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আছেন যারা বিগত সেশনে ঠিকমত দায়িত্ব পালন করেন নি। কাউন্সিলরদের পছন্দে নয়, দয়া-দাক্ষিণ্যে কমিটিতে ঢোকা কয়েকজন শুধু অযোগ্যতার পরিচয়ই দেন নি, বিতর্কিত কথা-বার্তা আর হাস্যকর তৎপরতার কারণে পরিত্যাজ্য হিসেবে ক্রীড়াঙ্গনে বাতিলের খাতায় নাম লিখিয়েছেন। একজন তো কাশমবাজারের কুঠিতে বসে নিজেকে মেয়রের সবচেয়ে কাছের মানুষ হিসেবে জাহির করা ব্যক্তির সাথে থেকে পদ-পদবী পাইয়ে দেয়ার ব্যবসা করারও অভিযোগে অভিযুক্ত। একটি কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা একজনতো স্পন্সরের টাকা আসার সাথে সাথে ইভেন্ট সেক্রেটারিকে চাপ দিয়ে একটা অংশ পকেটস্থ করার বিষয়টা সবার মুখে মুখে। আরেকজন শ্যুটেড-বুটেড হয়ে স্টেজে জায়গা দখল করা ছাড়া স্পোর্টসের জন্য পাঁচ টাকা খরচ করেছেন এমন নজির নাই। আরেকজন দীর্ঘ দিন ধরে বড় ক্ষমতায় থাকার কারণে হয়তো মানুষকে মানুষই মনে করেন না, স্বৈরাচারের চরম পরাকাষ্ঠা দেখিয়ে জনপ্রিয় একটা খেলাকে চট্টগ্রামবাসীর কাছে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করে চলেছেন। আরো একটি জনপ্রিয় ইভেন্টের প্রধান নির্বাহী প্রিয় এক-দু’জন ছাড়া কাউকে কাছে আসতে না দিয়ে ঐ ইভেন্টেরও বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছেন। আর দু-একজন আছেন যারা শুধু তেল মারা ছাড়া আর কোন যোগ্যতার প্রমাণ তেমন রাখতে পারেন নি। এভাবে পোস্ট মর্টেম করলে কার কি যোগ্যতা, কর্মদক্ষতা আর নৈপুণ্য চোখর সামনে ভেসে উফা একেবারেই সহজ। কিন্তু তারা এবার সবচেয়ে বেশি তৎপর আবারো কমিটিতে থাকতে। তাহলে মোহাম্মদ শাহজাহান বা ইয়াসিন চৌধুরীর মত ক্রীড়াঙ্গনে শুধু দিতে আসাদের কি কোন জায়গা হবে না-ঘুরে ফিরে আসছে সে প্রশ্ন।
মেয়র মহোদয় কিন্তু এবার বেশ সতর্ক। জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের জন্য এবার তিনি নির্বাচন ওপেন করে দিয়েছেন। তাঁর ঘাড়ে চড়ে সিজেকেএস’র চেয়ারে বসিয়ে সংস্থাটির ক্ষতি তিনি নিশ্চয়ই চাইবেন না। তবে গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত সুবিধাভোগী গ্রæপটি মহাব্যস্ত ছিল- আবারো সমঝোতার প্যানেল করে সহজে বিজয়ী হতে। কিন্তু এখনো চিড়ে ভিজে নি।
আজ বিকেলে নির্বাচনে প্রত্যাশীদের নিয়ে মেয়র বসবেন, সে কথাও শোনা যাচ্ছে।
সহ-সভাপতি পদে ফরম সংগ্রহ করেছেন ১৫ জন: সবুক্তগীন ছিদ্দিকী মক্কী, দিদারুল আলম চৌধুরী, মোজাম্মেল হক, ডেরিক র‌্যান্ডলফ, মো: মশিউর রহমান চৌধুরী, এ্যাডভোকেট শাহীন আফতাবুর রেজা চৌধুরী, মফিজুর রহমান, এ.কে.এম এহসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, মো: হাফিজুর রহমান, আবুল হাশেম, মো: শাহজাদা আলম, সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম, মোহাম্মদ ইয়াছিন চৌধুরী, সৈয়দ আবুল বশর, এস.এম শহীদুল ইসলাম।
সাধারণ সম্পাদক পদে ফরম সংগ্রহ করেছেন ২ জন : আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন ও মো: হাফিজুর রহমান
অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক পদে ফরম সংগ্রহ করেছেন ৮ জন: মো: মশিউর রহমান চৌধুরী, আব্দুল মান্নান রানা, সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম, তাহের-উল-আলম চৌধুরী স্বপন, এস.এম শহীদুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইয়াছিন চৌধুরী, সৈয়দ আবুল বশর।
যুগ্ম সম্পাদক পদে ফরম সংগ্রহ করেছেন ১০ জন: রাশেদুল আলম, আ.ন.ম ওয়াহিদ দুলাল, মো: মশিউর রহমান চৌধুরী, তাহের-উল-আলম চৌধুরী স্বপন, আমিনুল ইসলাম, অহীদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, মো: শাহজাদা আলম, মোহাম্মদ ইউসুফ, মোহাম্মদ ইয়াছিন চৌধুরী, সৈয়দ আবুল বশর।
কোষাধ্যক্ষ পদে ফরম সংগ্রহ করেছেন ৫ জন: রাশেদুল আলম, আ.ন.ম ওয়াহিদ দুলাল, শাহাবুদ্দীন মো: জাহাঙ্গীর, সবুক্তগীন ছিদ্দিকী মক্কী, মো: শাহজাদা আলম।
নির্বাহী সদস্য পদে ফরম সংগ্রহ করেছেন ৪৯ জন: নাসির মিঞা, প্রবীন কুমার ঘোষ, চন্দন ধর, মো: লুৎফুল করিম সোহেল, জহির আহমেদ চৌধুরী, এস.এম সাইফুদ্দীন, আবুহেনা মোস্তফা কামাল টুলু, মো: হারুন আল রশিদ (সংরক্ষিত), প্রদীপ কুমার ভট্টাচার্য্য (সংরক্ষিত), তনিমা পারভিন, মো: শাহজাহান, রেজিয়া বেগম ছবি (সংরক্ষিত), রেখা আলম চৌধুরী (সংরক্ষিত), আনজুমান আরা বেগম (সংরক্ষিত), রাশেদুল আলম, এনামুল হক, মকসুদুর রহমান বুলবুল, নিয়াজ মোর্শেদ এলিট, রাশেদুর রহমান মিলন, শওকত হোসাইন, রায়হান উদ্দিন রুবেল, মো: জমির উদ্দিন বুলু, এ.কে.এম এহসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, মো: আবদুল বাসেত, জাহেদুল ইসলাম, মো: হাফিজুর রহমান, আবুল হাশেম, এ.এস.এম সাইফুদ্দীন চৌধুরী, এম.এ মুছা বাবলু, এ.কে.এম আবদুল হান্নান আকবর, গোলাম মহিউদ্দিন হাসান, হাসান মুরাদ বিপ্লব, মোহাম্মদ ইউসুফ, মো: এরশাদ আলী খান ভূট্টো, দিদারুল আলম, অহীদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, লোকমান হাকিম মো: ইব্রাহীম, সৈয়দ আবুল বশর, সুমন দে, দিদারুল আলম চৌধুরী, মোজাম্মেল হক, সবুক্তগীন ছিদ্দিকী মক্কী, তাহের-উল-আলম চৌধুরী স্বপন, এস.এম শহীদুল ইসলাম, আ.ন.ম ওয়াহিদ দুলাল, মো: মশিউর রহমান চৌধুরী, শাহজাদা আলম, এ্যাড. শাহীন আফতাবুর রেজা চৌধুরী, মো: ইয়াছিন চৌধুরী।