সিজেকেএস ইস্পাহানী প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ আবাহনীর কাছে পাত্তাই পায়নি মোহামেডান

4

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ক্রীড়াঙ্গনে আবাহনী-মোহামেডানের দ্বৈরথ সেই বহু বছর থেকে পুরনো। সেটির ব্যতিক্রম নয় চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গনেও। কিন্তু দেশের অন্যতম সেরা পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান ফোর এইচ গ্রæপের ছোঁয়ায় চট্টগ্রাম আবাহনীর বদলে গেলেও চির প্রতিদ্ব›দ্বী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের গায়ে সেভাবে আঁচড় লাগেনি। যেটি প্রমাণ পাওয়া গেল সিজেকেএস ইস্পাহানী প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগেও। গতকাল লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলায় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চট্টগ্রাম আবাহনীর কাছে পাত্তাই পায়নি চট্টগ্রাম মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। নগরের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত খেলায় তারা ৯ উইকেটে হেরে গেছে। এটি চট্টগ্রাম আবাহনীর টানা দ্বিতীয় জয়। অন্যদিকে, মোহামেডান হারে দুটি ম্যাচেই।
গতকাল এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চট্টগ্রাম আবাহনীকে ঝোড়ো সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার তাজুল ইসলাম ও সাইদুল ইসলাম সান্জু। পাওয়ার প্লে’র প্রথম ১০ ওভারেই তারা দলের ভাÐারে জমা করেন ৬১ রান। পায়ে আঘাত পাওয়ার পরও খেলা চালিয়ে যাওয়া সানজু যখন ৩৩ বলে ২১ রান করে আউট হন তখন দলের রান ১৩.৫ ওভারে ৮৬! সান্জু কিছুটা রয়েসয়ে খেললেও অপর ওপেনার তাজুল ছিলেন পুরোটায় আক্রমণাত্মক। মোহামেডানের বোলারদের নির্দয়ভাবে পিটিয়ে ৭৭ বলে ৮৮ রানের ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল এক ডজন চার ও ৩টি ছক্কায়। আগের ম্যাচের জয়ের নায়ক যুব বিশ্বকাপজয়ী তরুণ তুর্কী শাহাদাত হোসেন দিপু ৩১ বল খেলে ৫ চার আর গ্যালারিতে পাঠানো ১ ছয়ে অপরাজিত ছিলেন ৩৯ রানে। মোহামেডানের হয়ে সাকলাইন সজীব একমাত্র উইকটটি দখল করেন।
এর আগে সকালে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়ে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ১৬৫ রানে অলআউট হয়। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ রানের ইনিংস খেলেন বিশাল চৌধুরী। অন্যদের মধ্যে তানভির ৩৭, ইশতিয়াক ২১ ও ইশরাত ২২ রান করেন। আবাহনীর রায়হান উদ্দিন ও তাজুল ইসলাম ৩টি করে উইকেট শিকার করেন। হান্নান তুলে নেন ২ উইকেট।