সিইসি’র সঙ্গে বৈঠক বর্জন করল ঐক্যফ্রন্ট

55

ড. কামাল হোসেনের বক্তব্যকে ‘অবজ্ঞা’ করার প্রতিবাদে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক বর্জন করেছেন বলে জানিয়েছেনে জোটের নেতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী। গতকাল মঙ্গলবার সিইসির সভাকক্ষে বেলা ১২টার পর থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত চলা বৈঠকে দুই জনের মধ্যে ‘উচ্চবাচ্য’ হয় বলে জানান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ।
তবে বৈঠক থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভেতরে ‘উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়’ হওয়ার বিষয়ে কিছু না বললেও সিইসি তাদের কোনো অভিযোগ কানে তোলেননি বলে জানিয়েছিলেন।
ভোটের চারদিন আগে নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে নানা অভিযোগ নিয়ে সিইসি কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে বৈঠকে বসেন ঐক্যফ্রন্টের প্রধান কামাল হোসেন। মির্জা ফখরুল, জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছাড়াও তার সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেন গণফোরামের মোস্তফা মহসীন মন্টু, সুব্রত চৌধুরী, বিএনপির নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস প্রমুখ। অপরপক্ষে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, ইসি সচিব হেলালুদ্দীন ছিলেন। খবর বিডিনিউজের
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এভাবে কথা বলেছেন যেন কামাল হোসেন সাহেব মিথ্যা কথা বলছেন; সিইসির অবজ্ঞাজনিত ব্যবহারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন কামাল হোসেন। এসময় একটু উচ্চস্বরে দুজনই কথা বলেছেন। এরই এক পর্যায়ে তারা বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে আসেন বলে জানান তিনি।
বৈঠকের পরিস্থিতির বিষয়ে জাফরুল্লাহ বলেন, আমরা দুঃখের কাহিনী শোনাচ্ছি সিইসিকে, কিন্তু সিইসি পুলিশকে ডিফেন্ড করছেন, যেন মিথ্যা কথা বলতে গেছি আমরা। সিইসি বারবার বলছেন- আমাকে দেখান; আমাকে দেখান। বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় পুলিশি নির্যাতনের কথা কামাল সাহেব বলছেন, আর সিইসি বলছেন- আমাকে দেখান।
বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পুলিশের পক্ষে ‘ভালো অবস্থান’ নেন বলে দাবি করেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
কামাল হোসেন সাহেব বলছেন- আমাদের লোকজন আইসিইউতে, মারধর করা হচ্ছে নেতাকর্মীদের। সিইসি বলছেন- পুলিশ এতো খারাপ না; আপনাদের কথা বিশ্বাসযোগ্য নয়; আপনি দেখান। আমাদের কথা বিশ্বাস করছেন না সিইসি; একটা অপমানজনক কথা বলেন তিনি।
এসময় সিইসির কথার প্রতিবাদ জানান কামাল হোসেন। কামাল হোসেন সাহেব সিইসিকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন- আপনি জজ, আপনি বিচারক হিসেবে এভাবে বলতে পারেন না; আপনি অভিযুক্তের পক্ষ নিচ্ছেন। তখন সিইসিও বলেছেন- কোথায় ঘটেছে আমাকে দেখান। এসময় উচ্চস্বরে কথা হয়েছে। সিইসির তিক্ত বক্তব্য ছিল অবজ্ঞাজনিত, অভদ্রজনিত।
সিইসির এ ধরনের বক্তব্যের প্রতিবাদে তারা বৈঠক থেকে বেরিয়ে যান বলে জানান জাফরুল্লাহ।
আমরা দুঃখের বিষয় নিয়ে গিয়েছি। দেড়ঘণ্টা বৈঠক করে আর আশ্বাস না পেয়ে বেরিয়ে এসেছি, বয়কট করেছি।
দেড় মাস আগেও ইসি-ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে বক্তব্যে উত্তাপ ছড়ায়। সে সময় মাহমুদুর রহমান মান্না বিতর্কে জড়িয়ে যান সিইসির সঙ্গে। এ নিয়ে মান্নার সমালোচনা করে আওয়ামী লীগও অনিবন্ধিত দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক না করতে পরামর্শ দিয়েছিল ইসিকে।