সিআইইউতে ‘মিট দ্যা ট্রান্সলেটর’

47

চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির (সিআইইউ) ক্রিয়েটিভ রাইটার্স ক্লাব ও অ্যামেরিকান কর্নারের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ‘রামগোলাম ইন ট্রান্সলেশন: মিট দ্যা ট্রান্সলেটর’ শীর্ষক বই বিষয়ক অনুষ্ঠান। সম্প্রতি নগরের জামাল খানের সিআইইউ ক্যাম্পাসের অ্যামেরিকান কর্নারে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এতে রামগোলাম উপন্যাসটির ইংরেজি অনুবাদক সিআইইউর স্কুল অব লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস এর ডিন অধ্যাপক কাজী মোস্তাইন বিল্লাহ ছাড়াও উপাচার্য, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কবি, সমালোচক, সাহিত্যিক ও প্রকাশকরা উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক কাজী মোস্তাইন বিল্লাহ রামগোলাম উপন্যাসটির ইংরেজি অনুবাদ করার প্রসঙ্গে বলেন, হরিশংকর জলদাশ প্রান্তিক জনগোষ্ঠী থেকে উঠে আসা লেখক। তার কালজয়ী এই লেখাটির ইংরেজি অনুবাদ-দুই ভাষাতেই এটিকে আরও গ্রহণযোগ্য করে তুলবে।
তিনি আরও বলেন, মৌলিক অস্তিত্ব ঠিক রেখে সাহিত্যকর্মটিকে পাঠকের কাছে আরও প্রাণবন্ত করে তুলতে চমৎকার ইংরেজি ভাষা, শৈল্পিকতা ও নান্দনিকতার দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছি। আমার কাছে জীবনঘনিষ্ঠ লেখা মানে এমনই। সাহিত্যের আয়নায় সমাজের প্রতিচ্ছবি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিআইইউর উপাচার্য ড. মাহফুজুল হক চৌধুরী বলেন, সাহিত্য মানেই সৃষ্টিশীলতা। আর এই ধরনের উপন্যাসের অনুবাদ কথাসাহিত্যের নবযাত্রা। শিক্ষার্থীদের বেশি বেশি অনুবাদ সাহিত্যের মাধ্যমে জ্ঞানের ঝুলিকে সমৃদ্ধ করার পরামর্শ দেন তিনি।
রামগোলাম উপন্যাসের লেখক ও কথাসাহিত্যিক হরিশংকর জলদাস অনুবাদক অধ্যাপক কাজী মোস্তাইন বিল্লাহ’র প্রসঙ্গে বলেন, একদিন হঠাৎ করেই তিনি আমার কর্মস্থলে হাজির হয়ে অনুবাদ করার খবরটি দিয়ে চমকে দিলেন। খু-উ-ব চমৎকার লিখেছেন। তার লেখনির মধ্য দিয়ে রামগোলাম উপন্যাসটি যে সমাজের অধিকারবঞ্চিত মানুষের জীবনভাষ্য তা দারুণভাবে ফুটে উঠলো।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জেরীন চৌধুরী বলেন, মর্যাদাসম্পন্ন সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতি হলো এই ধরণের অনুবাদ। অধ্যাপক কাজী মোস্তাইন বিল্লাহ তার অনুবাদ সাহিত্যে যে বৈচিত্র্য তুলে ধরেছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়।
আলোচনায় সিআইইউর ক্রিয়েটিভ রাইটার্স ক্লাবের সহকারি সমন্বয়ক ও প্রভাষক নস্হি উল ওয়াদুদ আলম রামগোলাম উপন্যাস নিয়ে তার ভাবনার কথা ছোট ছোট বাক্যে তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে সিআইইউর ক্রিয়েটিভ রাইটার্স ক্লাবের আহŸায়ক ও সহকারি অধ্যাপক রিফাত তাসনিমের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন ইংরেজি বিভাগের প্রধান সার্মেন রড্রিক্স, গ্রন্থবিপণী বাতিঘরের প্রধান দিপংকর দাশ প্রমুখ। অনুষ্ঠান উপস্থাপন করেন ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক তাফরিহা তারান্নুম সেঁজুতি। এই সময় কথাসাহিত্যিক হরিশংকর জলদাস ও সহযোগী অধ্যাপক জেরীন চৌধুরীর হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন কর্তৃপক্ষ।