সিআইইউতে একবিংশ শতাব্দীর বিপণন বিষয়ক সেমিনার

59

বিশ্বায়নের যুগে বদলে যাচ্ছে সবকিছু। বদলে যাচ্ছে ক্রেতা-বিক্রেতার মন-মানসিকতা। প্রতিযোগিতার ধরণ পাল্টে নিত্য-নতুন বিষয় মোকাবিলা করাই যেন এখন মার্কেটিং কিংবা বিপণনের আগামি দিনের বড় চ্যালেঞ্জ। চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে (সিআইইউ) অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘একবিংশ শতাব্দীর বিপণন: সমসমায়িক ইস্যু ও চ্যালেঞ্জসমূহ’ শীর্ষক দিনব্যাপি সেমিনার। গত মঙ্গলবার সকালে নগরের জামালখানের সিআইইউ ক্যাম্পাসের অডিটোরিয়ামে স্কুল অব বিজনেস এই সেমিনারের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে সিআইইউর উপাচার্য, বিজনেস স্কুলের সব শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। দুই পর্বে বিভক্ত সেমিনারের শুরুতেই ছিল ধারণা পরিচিতি। পরে অনুষ্ঠিত হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব। সেমিনারে প্রধান বক্তার বক্তব্যে অস্ট্রেলিয়ার সাউদার্ন কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটির মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক ড. মাহমুদ হাসান সৃজনশীলতার মাধ্যমে পণ্য উদ্ভাবন ও বাজারজাতকরণে নতুনত্ব তৈরি করে বিপণন বাজারকে চমকে দেওয়ার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে হবে। প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকতে হলে হতে হবে সংস্কৃতিবান্ধব। তাই ফাইন্যান্স, উৎপাদন, সেবা, মুনাফা-সবকিছুর গুণগত মান নিশ্চিত করতে চাই নিরন্তর প্রচেষ্টা।
সেমিনারে ড. মাহমুদ হাসান মার্কেটিং বা বিপণনের নানা ধরনের ধারণা, বিক্রয়, প্রমোশন, বিজ্ঞাপন, পাবলিক রিলেশন্স, মূল্য, ব্র্যান্ডিং, প্যাকেজিং, সেবা, ছাড়সহ এই সেক্টরের বিভিন্ন বিষয়গুলো উদাহরণ টেনে উপস্থাপন করেন। সেমিনারে অতিথির বক্তব্যে সিআইইউর উপাচার্য ড. মাহফুজুল হক চৌধুরী বলেন, বৈশি্বক ব্যবসায়িক পরিবেশ প্রতিনিয়ত পরিবর্তনের কারণে মার্কেটিংয়ের কৌশলও পাল্টে যাচ্ছে। চাহিদার সঙ্গে সমন্বয় করে এই সেক্টরে সফলতা অর্জনে চাই প্রচুর গবেষণা।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সিআইইউর বিজনেস স্কুলের ডিন ড. নাঈম আবদুল্লাহ। অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থীরা মার্কেটিং নিয়ে তাদের প্রশ্ন তুলে ধরেন। এ সময় কেউ কেউ ভালো উদ্যোক্তা হওয়ার ইচ্ছাপোষণ করেন। অনেকে আবার ব্যবসায়িক জগতে মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে সুনাম কুড়ানোর কৌশলও রপ্ত করতে চান বলে উল্লেখ করেন। বিজ্ঞপ্তি