সার্বিক বিষয় অনুসন্ধানের নির্দেশ আদালতের

17

গাঁজা খাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামে ‘নিহত’ দিলীপ রায় নামের এক ব্যক্তির জীবিত ফেরত আসার ঘটনায় আসামিকে নির্যাতন করে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে কিনা, সার্বিক বিষয়ে অনুসন্ধানের জন্যে চট্টগ্রামের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওই মামলার আসামি দূর্জয় আচার্যকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
মামলার ঘটনায় ফেরত আসা দিলীপ, দুই আসামি এবং মামলার দুই তদন্ত কর্মকর্তার বক্তব্য শোনার পর এমন আদেশ দেন আদালত। এ বিষয়ে শুনানির নির্ধারিত দিনে গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আসামি দূর্জয় আচার্যের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন জাহিদুল আলম চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। এর আগে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ২০১৯ সালের ২৩ এপ্রিল পুলিশ বাদী হয়ে চট্টগ্রামের হালিশহর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় গত ২৫ এপ্রিল জীবন চক্রবর্তী ও দূর্জয় আচার্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের মধ্যে জীবন চক্রবর্তী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে জানান, গাঁজা সেবনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিলীপ রায় নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে।
অথচ ঘটনার কিছুদিন পর দিলীপ রায়কে জীবিত অবস্থায় আদালতের সামনে হাজির করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এরপর ম্যাজিস্ট্রেট দিলীপ রায়কে নিজ জিম্মায় ছেড়ে দেন এবং পুলিশকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেন।
এদিকে, দিলীপ রায়ের ফিরে আসার ঘটনায় দূর্জয় চক্রবর্তী হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন জানান। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর ফেরত আসা দিলীপ রায়, গ্রেপ্তার হওয়া দুই আসামি এবং মামলার সব নথিসহ তদন্ত কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।