সারাদেশে প্রথম চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন

122

ইনোভেশন শোকেসিং উদ্ভাবনী কর্মশালায় সারাদেশে প্রথম স্থান অর্জন করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। গত মঙ্গলবার সরকারের স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে ঢাকা কাকরাইলস্থ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর মিলনায়তনে এই প্রদর্শনী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশের ১২টি সিটি করপোরেশন, ৪টি ওয়াসা এবং ৪টি পৌরসভা অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠানে সংস্থাগুলো তাদের উদ্ভাবনী উদ্যোগ প্রদর্শন করে। যেখানে চসিক ১০টি উদ্ভাবনী উদ্যোগ প্রদর্শন করে।
উদ্যোগ সমূহের মধ্যে ডোর টু ডোর বর্জ্য সংগ্রহ ও অপসারণ, আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে নগরীর গোলচত্বরে সৌন্দর্য্যবর্ধন, সড়কদ্বীপ, স্কুল-কলেজের সীমানা প্রাচীর ও পরিত্যক্ত স্থানে ম্যুরাল ভাস্কর্য, ঝর্ণা/ফোয়ারা, বৃক্ষ রোপণ ও বাগান করার মাধ্যমে নগরীর সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি, ইনটারেক্টিভ ওয়েব পোর্টাল, স্মাট ড্যাশবোর্ড ও ওয়েব রিপোর্টিং টুলস প্রণয়ন, হোল্ডিং ট্যাস্ক ও ট্রেড লাইসেন্স অটোমেশন, নিজস্ব কল সেন্টার (১৬১০৪) চালুকরণ, মোবাইল এ্যাপস প্রণয়ন, অনলাইন সনদ পত্র অটোমেশন, স্পট ট্রেড লাইসেন্স প্রদান ও সড়ক কর্তনের অনুমতি প্রদানে ওয়ানস্টপ সার্ভিস, ৫৮ কিলোমিটার সড়ক বাতি কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ, ভাইবার গ্রæপের মাধ্যমে উন্নয়নমূলক কর্মকাÐের সরাসরি পর্যবেক্ষণ রয়েছে। এই উদ্ভাবনী উদ্যোগ সমূহ প্রদর্শন করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ইনোভেশন শোকেসিং ২০১৯ – এ প্রথম স্থান অর্জন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এমপি। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব হেলাল উদ্দীন আহমদ। শোকেসিং কর্মশালার পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রী চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে সার্টিফিকেট ও পুরস্কার প্রদান করেন। সার্টিফিকেট ও পুরস্কার গ্রহণ করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা। এছাড়া সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম ও আইটি অফিসার মোহাম্মদ ইকবাল হাসান উপস্থিত ছিলেন।