সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন

39

উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে অভিযান পরিচালনা করে শতভাগ দোকানপাট বন্ধ করাসহ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে প্রচার- প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন তারা। এরআগে বিকাল ৩টার পর ওষুধের দোকান ছাড়া কোনরকম দোকান না খুলতে নির্দেশনা দিয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু নির্দেশনা না মেনে দোকান খোলা রাখায় ৬টি মুদির দোকানকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাসুদুর রহমান ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফখরুল ইসলাম ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে এ জরিমানা করেন।
এ ব্যাপারে ইউএনও মো. মাসুদুর রহমান বলেন, করোনা ভাইরাস ঠেকাতে রাঙ্গুনিয়ায় প্রশাসন আগের চেয়েও কঠোর অবস্থানে থাকবে। বিকাল ৩টার পর থেকে কোন দোকান খোলা দেখলে কিংবা অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গত শুক্রবার সকাল থেকে রাঙ্গুনিয়ার ইছাখালী থেকে শুরু করে গোডাউন, ভবানী, গোচরা, হাজীপাড়া, মালিরহাট, শান্তিরহাট সহ বিভিন্ন বাজারে মনিটরিং করা হয়েছে। এসময় ৬টি দোকানকে খোলা রাখায় জরিমানা করা হয়েছে। যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রেও নেওয়া হয়েছে কঠোর অবস্থান। নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে খুব পয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে না বেড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এদিকে গত শুক্রবার থেকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের বিশেষ দল কঠোর অবস্থানের ফলে ওষুধ ও কাঁচাবাজার ছাড়া সকাল থেকে সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বিকাল ৩টার পর বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে কাঁচাবাজারও। এরফলে কমে গেছে গ্রামাঞ্চলের রাস্তা-ঘাটে মানুষের যাতায়াত।
এ ব্যাপারে রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে উপজেলায় অভিযান চালাচ্ছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এ অভিযান নিয়মিত চালানো হবে। অপ্রয়োজনে ঘুরাঘুরি কিংবা নির্দিষ্ট সময়ের পরে কোন দোকান খোলা পেলেই পুলিশ তৎক্ষনাৎ ব্যবস্থা নেবে। তিনি সবাইকে ঘরে থেকে এ মহামারী প্রতিরোধের আহবান জানান।এদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষের ফোন কলের ভিত্তিতে ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। সাধারণ মানুষকে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী যারা থানায় ফোন করে সহায়তা চাচ্ছে তাদের সহযোগিতা করা হচ্ছে। শুক্রবারও বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে জানান ওসি মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।-