সাত সাংগঠনিক ইউনিটকে দেয়া হবে বিশেষ নির্দেশনা

56

জাতীয় নির্বাচনের পর দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করতে তৃণমূলে তৎপরতা বাড়াচ্ছে আওয়ামী লীগ। এ লক্ষ্যে আগামী ১১ মে (শনিবার) নগরীর কাজীর দেউড়ির ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে বিশেষ বর্ধিত সভার আয়োজন করেছে ক্ষমতাসীন দলটি। সভায় বৃহত্তর চট্টগ্রামের উত্তর, দক্ষিণ, মহানগর, কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ির মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, জেলা ইউনিটের পুরো কমিটি ও উপজেলা-থানা কমিটির সভাপতি-সম্পাদক, আহবায়ক-যুগ্ম আহবায়কদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
জানা যায়, এ সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ এমপি, চট্টগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক ও পানিসম্পদ উপ-মন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম এমপিসহ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক টিমের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিবেন। এ সভা থেকেই সাংগঠনিক কার্যক্রম তরান্বিত করা, দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষা, দলের ডাটাবেইজ তৈরি, সদস্য সংগ্রহ এবং সকল মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিসমূহ পুনর্গঠনের নির্দেশনা আসতে পারে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া পূর্বদেশকে বলেন, জাতীয় নির্বাচনের পর দলকে সুসংগঠিত করতে প্রধানমন্ত্রী আটটি সাংগঠনিক টিম গঠন করেছেন। সাংগঠনিক টিমের সফরের অংশ হিসেবে চট্টগ্রামেও একটি বিশেষ বর্ধিত সভা হবে। এ সভায় মন্ত্রী, এমপিরা ছাড়াও জেলা-উপজেলার দায়িত্বশীল নেতারা উপস্থিত থাকবেন। এ সভা থেকেই মুজিব বর্ষ পালনসহ দলের প্রয়োজনে আসবে এমন কিছু নির্দেশনা দেয়া হবে।
দলীয় সূত্র জানায়, চট্টগ্রামে বিশেষ বর্ধিত সভা সফল করতে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনকে সমন্বয়কের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে তিনি প্রতিটি ইউনিটের সাথে যোগাযোগ করে বর্ধিত সভার প্রস্তুতি শুরু করেছেন। চট্টগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় টিমের সদস্যরাও আগেভাগে চট্টগ্রামের সাংগঠনিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছেন। বিশেষ করে মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা ও উপজেলা কমিটিগুলো কিভাবে পুনঃগঠন করা যায় সেজন্য দায়িত্বশীল নেতাদের সাথে আলোচনা করছেন। এছাড়াও প্রতিটি সাংগঠনিক ইউনিটে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভেদ-বিভাজন কমিয়ে আনতেও তৎপরতা চালাচ্ছে এ টিম। যাতে মুজিব বর্ষ পালনে কোনও ধরনের বিশৃঙ্খলা না হয় সেজন্য আগেভাগেই দলের শৃঙ্খলা ফেরাতে চান টিমের দায়িত্বপ্রাপ্তরা। যে কারণে সভায় সাত সাংগঠনিক জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি, উপজেলা ও থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, আহবায়ক কমিটি হলে আহবায়ক ও যুগ্ম আহবায়কদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগরের ক্ষেত্রে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং আহবায়ক কমিটির আহবায়ক ও যুগ্ম আহবায়কেরা উপস্থিত থাকবেন। কমিটির নেতা ছাড়াও বৃহত্তর চট্টগ্রামের সকল সংসদ সদস্যকে এ সভায় উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন পূর্বদেশকে বলেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশনার অংশ হিসেবে চট্টগ্রামেও বিশেষ বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়েছে।
আগামী ১১ মে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এ সভায় সাতটি সাংগঠনিক ইউনিটের প্রায় দেড় হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা আছে। এ সভা থেকে কেন্দ্রীয় নেতারা তৃণমূলের উদ্দেশ্যে যে নির্দেশনা দিবেন সেভাবেই সাংগঠনিক কার্যক্রম চালানো হবে।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ সালাম পূর্বদেশকে বলেন, দলে সুসংগঠিত করতে বিশেষ বর্ধিত সভা করা হচ্ছে। এ সভা থেকেই দলকে কিভাবে শক্তিশালী করা যায় কিংবা দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমে গতিশীলতা বাড়াতে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করা হবে।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান পূর্বদেশকে বলেন, সামনে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সম্মেলন। তার আগেই দলের সাংগঠনিক অবস্থান দৃঢ় করতে দেশব্যাপী সাংগঠনিক টিম কাজ করছে। চট্টগ্রামেও সাংগঠনিক টিমের আগমন উপলক্ষে বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়েছে। এ সভা থেকেই দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি বিশেষ নির্দেশনা দিবেন কেন্দ্রীয় নেতারা।