সাত মণ ওজনের মাছ কেজি ১২শ’ টাকা

41

সাত মণ ওজনের মাছ উঠেছে কাজীর দেউড়ি বাজারে। এতো বড় মাছটি এককভাবে কেনার কেউ নেই! বাধ্য হয়ে শুক্রবার (আজ) সকালে মাছটি কেটে টুকরা করে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দোকানি।
প্রতিকেজি ১ হাজার ২০০ টাকা করে ইতিমধ্যে ১২০ কেজি অগ্রীম অর্ডারও হয়ে গেছে।
কাজীর দেউড়ি বাজারের ৫৯ নম্বর হারুণের মাছের দোকানে শীত মৌসুমে বড় বড় মাছ তোলা হয় বিক্রির জন্য। এ মৌসুমের সবচেয়ে বড় সামুদ্রিক ‘কৈ কোরাল’টি কর্ণফুলীর ৪ নম্বর ঘাটের একটি ফিশিং ট্রলার থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে বুধবার। এরপর রিকশাভ্যানে মাছটি নিয়ে আসা হয় কাজীর দেউড়ি বাজারে। এ সময় কৌতূহলী মানুষের ভিড় জমে যায়। খবর বাংলানিউজের
দোকানের বিক্রয়কর্মী মো. মিন্টু মিয়া জানান, মাছটি ৬ হাজার টাকার বরফ কিনে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। শুক্রবার (আজ) সকাল আটটায় মাছটি কাটা হবে বিক্রির জন্য। তিনজন অভিজ্ঞ শ্রমিক প্রথমে মাছটির চামড়া ছাড়াবে। এরপর মাংসের মতো কেটে টুকরা টুকরা করে কেজি হিসেবে বিক্রি করা হবে।
তিনি বলেন, শীতকালে বড় কৈ কোরালের দারুণ স্বাদ হয়। এ মাছটি খুব সম্ভবত বড়শি দিয়ে জেলেরা বঙ্গোপসাগরে ধরেছিলেন। ঘাটে আনার পর খবর পেয়ে আমরা দ্রুত এটি কিনে ফেলি। কারণ অভিজাত মাছের বাজার হিসেবে কাজীর দেউড়িতে এ ধরনের বড় মাছের চাহিদা বেশি। প্রায় ২৬০ কেজি ওজনের মাছটি কিন্তু বিভিন্ন দামে বিক্রি হবে। এর মধ্যে মাথা বিক্রি হবে ৪০০-৫০০ টাকা কেজি। নাড়িভুঁড়ি, কাঁটা, লেজ বাবদ বাদ যাবে অন্তত ৭০ কেজি।
৩৫ বছর ধরে কাজীর দেউড়ি বাজারে মাছের দোকানে কাজ করছেন মিন্টু। তিনি বলেন, প্রথম যখন এ ধরনের মাছ কেটে বিক্রি করতাম তখন দাম পড়তো কেজি ২০০ টাকা। এখন বেশি দামে কিনতে হয় বলে বেশি দামে বিক্রিও করতে হয়। আরেকটি বিষয় হচ্ছে দেশের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যেও এ ধরনের মাছের চাহিদা বাড়ছে। অনেক সময় এ ধরনের কয়েক কেজি মাছ কিনে ফ্লাইটে ঢাকা কিংবা কলকাতাও পাঠিয়ে দেন আত্মীয়স্বজনের কাছে।
সূত্র জানায়, সব মিলে মাছটি খুচরা পর্যায়ে আড়াই থেকে ৩ লাখ টাকায় বিক্রি হবে।