সাত্তার চৌধুরীর অবদান অসামান্য

42

একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ও প্রাবন্ধিক ড. মাহবুবুল হক বলেছেন, পুঁথি ও লোকসাহিত্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে আবদুস সাত্তার চৌধুরীর অবদান অসামান্য। আমাদের জাতীয় ঐতিহ্যের লালন ও তার পুনরুদ্ধারে আবদুস সাত্তার চৌধুরীর শ্রম ও সাধনা সার্থক হয়েছে। আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ ও আশুতোষ চৌধুরীর পরে তিনি উল্লেখযোগ্য কাজ সম্পাদন করেছেন। ড. মাহবুবুল হক গত ১৫ নভেম্বর চট্টগ্রাম একাডেমির উদ্যোগে পুঁথি গবেষক ও সংগ্রাহক আবদুস সাত্তার চৌধুরীর জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন। সাহিত্যিক ও সাংবাদিক রাশেদ রউফ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ড. মাহবুবুল হক আরো বলেন, তাঁর সংগৃহীত পুঁথি ও লোকসাহিত্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার সমৃদ্ধ হয়েছে। তাঁর সংগৃহীত পুঁথির তালিকা নিয়ে একটা দীর্ঘ রচনা আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের পান্ডুলিপি পত্রিকায় প্রকাশ করেছিলাম। সেটি জন্ম শতবর্ষকে উপলক্ষ করে গ্রন্থাকারে প্রকাশ করা গেলে এ প্রজম্মের পাঠক একটা ধারণা পেতে পারেন। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে ছিলেন আগ্রাবাদ মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ড. আনোয়ারা আলম, সরকারি মহসিন কলেজের অধ্যাপক ড. ইলু ইলিয়াস, শিল্পশৈলী সম্পাদক নেছার আহমদ, মরহুমের পুত্র পুঁথি গবেষক মুহাম্মদ ইসহাক চৌধুরী, অধ্যাপক অজিত কুমার মিত্র, ব্যাংকার ফারুক খান চৌধুরী প্রমুখ। একাডেমির মহাপরিচালক অরুণ শীলের সঞ্চালনায় সাত্তার চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা জানান সাবেক মহাপরিচালক কবি জিন্নাহ চৌধুরী, পরিচালক গল্পকার দীপক বড়ুয়া, গল্পকার সাংবাদিক বিপুল বড়ুয়া, সংগঠক মো. জাহাঙ্গীর মিঞা, লেখক এসএম আবদুল আজিজ, অধ্যাপক সুপ্রতিম বড়ুয়া, গল্পকার মিলন বনিক, কবি আবুল কালাম বেলাল প্রমুখ। অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে দীপক বড়ুয়ার সম্পাদনায় ‘শ্রদ্ধাঞ্জলি’ শীর্ষক একটি সংকলন প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞপ্তি