সাতকানিয়ায় বাসচাপায় যুবলীগ নেতা নিহত

46

কেরানীহাট থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক দিয়ে চট্টগ্রামমুখি আঁধার মার দরগাহ এলাকার দিকে ব্যবসায়িক কাজে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন উত্তর সাতকানিয়া যুবলীগের সদস্য দিদারুল ইসলাম (৩৫)। তিনি জনার কেঁওচিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছে পৌঁছলে পিছনের দিক থেকে ছুটে আসা হানিফ পরিবহনের একটি বাস ধাক্কা দেয়। এতে দিদার রাস্তার ওপর ছিটকে পড়ে রক্তাক্ত হন। এ অবস্থায় বাসটির চালক আবার পেছনের দিকে গাড়ি চালিয়ে দেয়। এতে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই দিদারের মৃত্যু ঘটে।
এরপরই বাসটি পালিয়ে যাওয়ার সময় দোহাজারী সেতু এলাকা থেকে হাইওয়ে পুলিশ আটক করে। তবে চালক পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা যায়নি।
গতকাল শনিবার বিকাল তিনটায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
এদিকে দিদারের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে তার সহকর্মীরা ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে সড়কে ব্যারিকেড দিলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় তারা দিদার হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন।
পরে দোহাজারী হাইওয়ে থানা পুলিশ, সাতকানিয়া থানা পুলিশ ও দমকল বাহিনীর সদস্যরা যৌথভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
দোহাজারী হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান ও দিদারের ব্যবসায়ীক পার্টনার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবু ছালেহ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
দিদারের লাশ বাড়িতে নেওয়া হলে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। দিদারের স্বজনরা জানান, দলের জন্য তার ত্যাগ থাকলেও দলের নাম ভাঙিয়ে কোন ব্যবসা-বাণিজ্য করেননি। সর্বশেষ দলীয় সিনিয়র এক নেতা ও নিকটাত্মীয়ের অর্থায়নে মাটি কাটার ব্যবসা শুরু করেন। সেই ব্যবসাস্থলে যাওয়ার পথেই মর্মান্তিক মৃত্যু হয় তার।
জানা গেছে, দিদারুল ইসলাম যুুবলীগের একজন সক্রিয় নেতা। দলের যে কোন কর্মসূচি বাস্তবায়নে অনেকটা অগ্রভাগেই দেখা যেত তাকে। তার মৃত্যুকে হত্যাকান্ড বলে উল্লেখ করে গতকাল সন্ধ্যায় কেরানীহাটে বিক্ষোভ মিছিল করেছে উত্তর সাতকানিয়া সাংগঠনিক থানা যুবলীগ। মিছিলে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী নেতৃত্ব দেন। এতে অংশ নেন শতাধিক নেতাকর্মী।
দিদার কেওচিয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের জনার কেওচিয়া গ্রামের তাজের মুল্লুক ড্রাইভার বাড়ির মৃত রফিকুল ইসলামের পুত্র। তার একটি ছেলে ও একটি কন্যা রয়েছে। গতকাল রাতেই নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।