সাতকানিয়ায় পাঁচ বছর বয়সী শিশুকে ধর্ষণ

27

সাতকানিয়ায় এক পল্লী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার সন্ধ্যায় ছদাহা ইউনিয়নের খোর্দ্দ কেউচিয়া ছহির পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। উক্ত পল্লী চিকিৎসক তাফসীর উদ্দীনকে (২৬) আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। তাফসীর লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডস্থ জঙ্গল পদুয়ার মৃত আবদুর রাজ্জাকের ছেলে। বুধবার রাতেই শিশুটির মা বাদী হয়ে তাফসীর উদ্দীনকে আসামি করে সাতকানিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
থানা সূত্রে জানা যায়, ছদাহা ইউনিয়নের খোর্দ্দ কেউচিয়া ছহির পাড়া এলাকার একটি ইটভাটার শ্রমিকের ছেলে পায়ে ব্যথা পেলে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক তাফসীর উদ্দীনের চেম্বারে যায়। এ সময় ছেলেটির সাথে তার দুই ছোট বোনও ছিল। ছেলেটির পায়ের ড্রেসিং শেষ করে তাকে ও তার এক বোনকে চেম্বারের সামনে বেঞ্চে বসিয়ে রাখা হয় এবং অন্য বোনকে মুখে মলম লাগিয়ে দেওয়ার কথা বলে চেম্বারের ভেতরে নিয়ে যায় তাফসীর। এসময় জোরপূর্বক শিশুটিকে ধর্ষণ করে তিনি। পরে ঘরে এসে শিশুটি তার মাকে এসব জানায়।
শিশুটির মা বলেন, ‘আমার মেয়ের লজ্জাস্থানে লালচে দাগ দেখতে পাই। বিষয়টি আমার সন্দেহ হলে আমি তাৎক্ষণিক পাড়া প্রতিবেশীদের বলি এবং তারা চেম্বারে গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তবে এসময় সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ’ানীয়রা তাকে আটক করে ভয়ভীতি দেখায় এবং এসময় সে ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে আমি বাদী হয়ে তাফসীরকে একমাত্র আসামি করে সাতকানিয়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছি।’
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সফিউল কবীর বলেন, শিশুটির মা বাদী হয়ে তাফসীর উদ্দীনকে আসামি করে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে তাফসীর চট্টগ্রাম জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জিহান সানজিদার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে। অন্যদিকে চিকিৎসা শেষে আদালতে শিশুটির ২২ ধারায় জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়।