সাতকানিয়ায় নৌকার বিরামহীন প্রচারণা

47

সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রাম-১৫ সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনেও প্রতীক বরাদ্ধের পর থেকেই বিরামহীন প্রচারাণায় নেমেছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী প্রফেসর ড. আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি। নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে বেড়েছে তার প্রচারণার পরিধিও। পৃথক টিম নিয়ে আলাদাভাবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তার স্ত্রী বাংলাদশে মহিলা আওয়ামী লীগের কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য রিজিয়া রেজা চৌধুরী। এর বাইরে রয়েছে আওয়ামী লীগ ও অংগ সংগঠন নেতা কর্মীদের প্রচারণা টিম। লোহাগাড়ার ৯ টি, সাতকানিয়ার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম ১৫ আসন । মহাজোটের মনোনীত প্রার্থী আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর প্্রচারণা বিরামহীনভাবে চললেও এ আসনে ২৩ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর সাবেক এমপি শামসুল ইসলাম কারাবন্দি থাকায় প্রচারণার মাঠে নামতে পারেননি তিনি। তবে জামায়াত নেতাদের অভিযোগ সব মামলায় জামিন হলেও পুরাতন মামলায় আটক দেখানোর ফলে তার মুক্তির পথ আটকে যাচ্ছে। এ জন্য সরকারের একচোখা নীতিকেই দায়ী করেন জামায়াত নেতারা। প্রতীক বরাদ্ধের দিনই সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার সবকটি ইউনিয়নে একযোগে শো-ডাউনের উদ্যোগ নিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি বললেই চলে। তবে কয়েকটি ইউনিয়নে ছোট পরিসরে মিছিল অনুষ্ঠিত হয় মাত্র। এরপর জামায়াতের সমর্থনে নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন প্রচারণায় নামার তিন দিনের মাথায় তার বাসা থেকে আটক করে পুলিশ। ফলে নেতাদের মাঝে দেখা দেয় গ্রেপ্তার আতংক। গ্রেপ্তার এড়াতে অনেক নেতা চট্টগ্রাম শহর থেকে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় আসাও ছেড়ে দেন। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে জামায়াত নেতার হয়ে ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে গণসংযোগ করেছেন সাতকানিয়া বিএনপি’র সভাপতি অধ্যাপক শেখ মহিউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান। তারা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে ব্যাপক লোক সমাগম ঘটিয়ে ধানের শীষ প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন নির্বাচনে অংশ নেওয়া দলসমূহের নেতাদের সাথে কথা বলে এবং সরেজমিন পরিদর্শনকালে এমন চিত্রই পাওয়া গেছে। তবে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে সেনাবাহিনী মাঠে নামার সাথে সাথে ব্যাপক জনশক্তি নিয়ে মাঠে নামার পরিকল্পনা রয়েছে দলটির। ড. নদভী এমপি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে অনেক দলের এমপি নির্বাচিত হয়েছিল এ আসন থেকে। কিন্তু ২০১৪ সালে আমি এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর ৫ বছর সময়ের মধ্যে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় অন্তত ২ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন হয়েছে। তার মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড়ের আওতাধীন শঙ্খ ও ডলু নদীর ভাঙনরোধ প্রকল্প অন্যতম। এ প্রকল্প চলমান রয়েছে। প্রকল্পটির কাজ সমাপ্ত হলে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার মানুষদের আর নদী ভাঙনের সাথে যুদ্ধ করতে হবেনা। এর বাইরে সাতকানিয়া বাশখালী সড়কটিও বৃহৎ প্রকল্প। প্রায় শত কোটি টাকা ব্যয়ে এ সড়কটি ২ লাইন বিশিষ্ট করা হয়েছে। এসব উন্নয়ন মানুষের কাছে দৃশ্যমান থাকায় মানুষ এবারের নির্বাচনেও আমাকে নৌকা প্রতীকে ভোট দিবে।