দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় করোনায় ১ জনের মৃত্যুসহ মোট ১৮ জনের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় করোনা ভীতি বাড়ছে মানুষের মাঝে। সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২ জন স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হওয়ার পর এই ভীতি আরো বেড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জানা যায়, নতুন করে যে দু’জনের শরীরে করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়, তারা দু’জনই সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যকর্মী। তাদের মধ্যে একজন পুরুষ ও অপরজন নারী। নারী স্বাস্থ্যকর্মীর বাড়ি ছদাহা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের রোয়াজির পাড়ায়। তিনি মিঠাদিঘী এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। পুরুষ স্বাস্থ্যকর্মীর বাড়ি সাতকানিয়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের রূপকানিয়ায়।
সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ ওসমানী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বুধবার রাতে বিআইটিআইডি এবং সিভাসু থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পর দুই স্বাস্থ্য কর্মীর করোনা পজিটিভ নিশ্চিত হই। দুই স্বাস্থ্য কর্মীসহ সাতকানিয়ায় এ পর্যন্ত মোট ১৮ জনের করোনা শনাক্ত হলো। এর মধ্যে উপজেলার পশ্চিম ঢেমশা ইউনিয়নের ইছামতি আলীনগর এলাকায় সিরাজুল ইসলাম নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৫ জন।
তিনি আরও জানান, করোনা আক্রান্ত দুই স্বাস্থ্যকর্মী বিভিন্ন সময়ে ফিল্ডে কাজ করেছেন, করেছেন নমুনা সংগ্রহের কাজও। তাই ২৯ এপ্রিল একজনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য সিভাসুতে পাঠানো হয়। পরের দিন (৩০ এপ্রিল) অপরজনের নমুনা পরীক্ষার জন্য বিআইটিআইডিতে পাঠানো হয়েছিল।
উপজেলায় করোনা আক্রান্ত রোগী বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর-এ আলম বলেন, চট্টগ্রাম জেলার মধ্যে সাতকানিয়ায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। তাই আমরা জনসাধারণকে ঘরে থাকার জন্য অনুরোধ করে যাচ্ছি। নির্দেশনা না মানায় প্রতিদিনই ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জরিমানা করা হচ্ছে। লকডাউন মেনে চললেই সাতকানিয়াকে করোনামুক্ত করা সম্ভব হলে মন্তব্য করেন তিনি।
