সাকিবকে না দেখে ক্ষুব্ধ পাপন

36

জাতীয় ক্রিকেট দলের বিশ্বকাপ জার্সি উন্মোচন হয়েছে গতকাল সোমবার। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে অধিনায়ক মাশরাফি মুর্তজার হাতে বিশ্বকাপ জার্সি তুলে দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। জার্সি উন্মোচনের পর শুরু হয় ফটোসেশন। বিশ্বকাপ দলে থাকা প্রত্যেক ক্রিকেটার আলাদাভাবে ফটোসেশনে অংশ নিয়েছেন। পাশাপাশি দলীয় ফটোসেশন তো ছিলই। বিসিবির পরিচালকদের সঙ্গেও বিশ্বকাপ দলের সদস্যরা ফটোসেশনে অংশ নিয়েছেন। সোমবার বিশ্বকাপ দলের অফিসিয়াল ফটোসেশনে দলের ১৪ জন অংশ নিলেও ছিলেন না সাকিব আল হাসান। বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারকে ফটোসেশনে না দেখে ক্ষুব্ধ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। আইপিএল খেলতে ভারতে যাওয়া সাকিব রবিবার রাতে ফিরেছেন ঢাকায়। সোমবার সকালে মিরপুর স্টেডিয়ামে এসে রিপোর্টও করেছেন, কিন্তু দুপুরের পর তাকে আর খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত তাকে ছাড়াই ফটোসেশনে অংশ নিয়েছে জাতীয় দল।
সাকিবের এমন আচরণে বিসিবি সভাপতি ক্ষোভ চেপে রাখতে পারেননি। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেছেন, “ফটোসেশনে সাকিবের অনুপস্থিতি সত্যিই দুঃখজনক। আমি স্টেডিয়ামে ঢোকার সময় সাকিবকে ফোন করে জিজ্ঞেস করলাম, ‘তুমি কোথায়?’ ও বললো, ‘আমি তো ঢাকায় চলে এসেছি। আপনার বাসায় আসবো রাতে।’ আমি বললাম, ‘কেন? এখনই তো দেখা হবে।’ ও বলল, ‘না, আমি বেরিয়ে গেছি।’ আমি পরে জানতে পারলাম যে সাকিবকে আগেই বলা হয়েছিল আজ (গতকাল) দলের ফটোসেশন হবে। জাতীয় দল বিশ্বকাপে যাচ্ছে, তাই সবার সঙ্গে সাকিবকেও ফটোসেশনে দেখার আশা করেছিলাম। কিন্তু সে ছিল না।’
ফটোসেশনে সাকিবের অনুপস্থিতি দলের মধ্যে কোনও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে কিনা প্রশ্নে নাজমুল হাসান বলেছেন, ‘আমার মনে হয় দলের অন্যরা এত দিনে ওর এসব ব্যাপারে অভ্যস্ত হয়ে গেছে! যাহোক, আমি মনে করি এটা ওর জন্যই দুর্ভাগ্য। সাকিবের কপাল খারাপ, আমাদের বিশ্বকাপ দলের ফটোসেশনে সে থাকতে পারলো না। এছাড়া আর কী বলবো!’
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের জন্য দুই ধরনের জার্সি তৈরি করা হয়েছে। একটাতে লাল এবং অন্যটাতে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে সবুজ রং। এবারের জার্সির আদল অনেকটা ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো।
এবারও বাংলাদেশের রেপ্লিকা জার্সি বিক্রি করার স্বত্ব পেয়েছে স্পোর্টস অ্যান্ড স্পোর্টস ডিজাইন। কয়েক বছর ধরে এই প্রতিষ্ঠানটিই তৈরি করে আসছে জাতীয় দলের জার্সি।
বাংলাদেশ দলের জার্সির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ১৫০ টাকা। মূল জার্সির পাশাপাশি অ্যাওয়ে জার্সি এবং অনুশীলন জার্সি নির্ধারিত দোকান থেকে কিনতে পারবেন ক্রেতারা। ফ্যাশন হাউস অঞ্জনস ও জেন্টলপার্কের সব আউটলেটে বিক্রি হবে বাংলাদেশ দলের জার্সি। এছাড়া অনলাইন শপ ক্রিকশপ বিডি ও জার্সি ফ্রিক বিডিতে জার্সি পাওয়া যাবে। ডিমানির অ্যাপ ব্যবহার করেও কেনা যাবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ জার্সি। আর সারা দেশে জার্সি ছড়িয়ে দিতে কাজ করবে রবিন স্পোর্টস।