সহনশীল সমাজ গঠনে বইয়ের বিকল্প নেই

34

স্কুল জীবনে সবাই নাকি সবচেয়ে বেশি বই পড়ে। নতুন বইয়ের ভাঁজ খুলে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা উল্টে বেড়ানোর সে এক আনন্দ! অথচ বয়স বাড়ার সঙ্গে এই অভ্যাসটা হারিয়ে যেতে থাকে ধীরে-ধীরে। নিয়মিত পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা ও লেখালেখিতে মেধার বিকাশ ঘটানোর নানা কৌশল নিয়ে চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে (সিআইইউতে) অনুষ্ঠিত হলো দিনব্যাপী কর্মশালা। নগরের জামালখানের সিআইইউ ক্যাম্পাসের অডিটোরিয়ামে গতকাল বুধবার সকালে ইংরেজি বিভাগ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন যুক্তরাজ্যের অধ্যাপক ও একেএস খান সেন্টারের উন্নয়ন পরিচালক ড. মার্ক বার্থোলোমিউ।
উপস্থিত ছিলেন ইংরেজি বিভাগের সব শিক্ষক ও শিক্ষার্থী। অনুষ্ঠানে বই পড়ার আদ্যোপান্ত নিয়ে মন খুলে কথা বলেন ছাত্র-ছাত্রীরা। ড. মার্ক বার্থোলোমিউ পড়ার অভ্যাস ধরে রাখতে চাইলে কল্পনা শক্তি বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে কর্মশালায় বলেন, আমি যা পড়ছি তার সঙ্গে চোখের সামনে ভেসে ওঠা পুরো চিত্রের মিল খুঁজে বের করতে হবে। ২০০ বছর আগে লেখা কোনো উপন্যাস কিংবা গল্পের বইয়ের কাহিনি এখনও অনেকের জীবনের সঙ্গে মিলে যায়।
তিনি আরও বলেন, পড়ার অভ্যাস আমাদের যুক্তিবুদ্ধি ও চিন্তার খোরাক জোগায়। পাঠাভ্যাস বৃদ্ধির মাধ্যমে একটি সৃজনশীল ও মননশীল জাতির জ্ঞানের প্রসার ঘটে। পড়তে গিয়ে অযথা ব্যাকরণ মেলানোর দরকার নেই। জ্ঞানের ভান্ডার সমৃদ্ধ হলে শব্দের পর শব্দ নিয়ম অনুযায়ী মনন থেকে এমনি কলমে চলে আসবে বলে উল্লেখ করেন ড. মার্ক।
ইংরেজি বিভাগের প্রধান সার্মেন রড্রিক্স-এর সঞ্চালনায় কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্কুল অব লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সস-এর ডিন কাজী মোস্তাইন বিল্লাহ, সহকারি অধ্যাপক রিফাত তাসনীম, প্রভাষক শাকিলা মোস্তাক, আশিকুর রহমান, উম্মেহানি পিংকি, নাসিহ উল ওয়াদুদ আলম, রিফাত আহমেদ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি