সহকারি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ

50

চন্দনাইশ উপজেলার বরমা উন্নতমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিক আশিষ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে পুলিশে দিয়েছে অভিভাবকরা। গত ১৪ মার্চ বরমা উন্নতমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আশিষ বিশ্বাস বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন শিক্ষার্থীকে পাঠদানের অগোচরে, কৌশলে শ্রেণিকক্ষে যৌন হয়রানি করে যাচ্ছিল। অবশেষে গত বৃহস্পতিবার অর্ধ শতাধিক অভিভাবক বিদ্যালয়ে এসে প্রধান শিক্ষককে অভিযোগ দিয়ে তাকে ক্লাস থেকে বের করে দিতে বলেন। প্রধান শিক্ষক সেলিনা আকতার অপারগতা প্রকাশ করলে অভিভাবকেরা আশিষকে ক্লাস থেকে অফিস কক্ষে নিয়ে আসে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ.ন.ম বদরুদ্দোজা বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পেয়ে অভিভাবকদের রোষানল থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসে পুলিশের নিকট সোপর্দ করেন। প্রধান শিক্ষক সেলিনা আকতার জানান, গত ১০ ফেব্রæয়ারি ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থী আশিষ সেন, গত বছর অক্টোবর মাসে ১ম শ্রেণির শিক্ষার্থী তানবীর হাসান, আরো কয়েকদিন আগে ৩য় শ্রেণির আরেক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ দিয়েছেন অভিভাবকেরা। তাছাড়া শিক্ষার্থীরা অভিযোগ দিয়ে বলেছিল এ সকল অপকর্ম করে আশিষ শিক্ষার্থীদেরকে বেত দিয়ে মারধর করার ভয় দেখিয়ে এ অপকর্ম চালিয়ে যেত। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক সেলিনা আকতার তাকে সতর্ক করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবরে প্রেরণ করেন বলে জানান। সে সাথে শিক্ষক আশিষকে অন্যত্র বদলীর জন্য অনুরোধ জানান। তাছাড়া স্থানীয়ভাবে অনেক শিক্ষার্থী এ লম্পট শিক্ষকের বিকৃত লালসার শিকার হয়েছে অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাসান আল মামুন অভিযোগ পাওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, তাকে কেউ এ ব্যাপারে অবহিত করেন নাই। গত বৃহস্পতিবার সংবাদ পেয়ে বিদ্যালয়ে যান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ.ন.ম বদরুদ্দোজা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শিক্ষার্থীদেরকে বিভিন্ন সময়ে যৌন হয়রানির অভিযোগে স্থানীয় অভিভাবকেরা শিক্ষক আশিষ বিশ্বাসকে আটক করে রাখে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পেয়ে তাকে পুলিশ হেফাজতে দেয়া হয়। তবে প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অভিভাবকেরা লিখিতভাবে কোন অভিযোগ না দেয়ায় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ বিষয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। জানা যায়, আশিষ বিশ্বাস পটিয়ার ১টি রেজি. প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করত। বিশেষ সুযোগ পেয়ে রেজি. প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ হওয়ার পর চন্দনাইশে দক্ষিণ বৈলতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলী হয়ে যোগদান করেন। পরে এ বিদ্যালয়ে এসে তার এ অপকর্ম প্রকাশ পায়। আশিষ বিশ্বাস ৩ কন্যা সন্তানের পিতা বলে জানা যায়। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।