সস্ত্রীক কক্সবাজারে হানিমুনে যেতে বাধাঁ প্রেমিকের

36

গত শুক্রবার নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে বিবাহ অনুষ্ঠানের পর শনিবার বিকালে সস্ত্রীক কক্সবাজারে হানিমুনে যাচ্ছিলেন নববধূ ও বর। তাদের বহনকারী গাড়িটি পটিয়া উপজেলার ইন্দ্রপুল এলাকায় পৌঁছলে দলবল নিয়ে নববধূর গাড়িতে ব্যারিকেড দেয় প্রেমিক সেফায়েত ফাহিম। এরপর ৫ মিনিট এক পলকে নববধূর দিকে তাকানোর পর গাড়ি ছেড়ে দেয়। তবে পটিয়া থানায় সংবাদ দেয়া হয় এক নারীকে অপহরণের। এরপর পটিয়া থানা পুলিশ গাড়িসহ নববধূ ও বরকে থানায় নিয়ে জানতে পারেন অপহরণ নয়। তারা বিয়ের পর সস্ত্রীক কনের বাবার গ্রামের বাড়ি ও একই পথে কক্সবাজারে হানিমুনে যাচ্ছিলেন। ওই সময় বর তার স্ত্রীর সাবেক প্রেমিক ফাহিম দলবল নিয়ে তাদের অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছিল বলে পুলিশের কাছে তাৎক্ষণিক অভিযোগ করেন। এরপরই ঘটনার উল্টো মোড় নেয়। আটক হয় প্রেমিক ফাহিমসহ চার সঙ্গী। পরে রাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না করার মুচলেকায় আটক চারজনকে স্বজনদের জিম্মায় মুক্তি দেয়া হয়।
সূত্রে জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলার আজিজনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনের কন্যা ফারহানা বেগমের সঙ্গে একই উপজেলার সৌদি প্রবাসী কফিল উদ্দিনের বিয়ে গত শুক্রবার নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে সম্পন্ন হয়। এর পূর্বে মহসিন কলেজের ছাত্র ও চন্দনাইশের বাসিন্দা সেফায়েত ফাহিমের সঙ্গে চেয়ারম্যান কন্যা ফারহানার প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। শুক্রবার তার বিয়ে হওয়ার খবর পেয়ে সেফায়েত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দু’জনের অন্তরঙ্গ ছবিসহ ছবি একটি স্ট্যাটাস দেন। তাতে লেখেন আমি জানি, কোন একদিন অপরপ্রান্ত থেকে কান্নাজড়িত কণ্ঠে আমার কাছে একটি ফোন আসবেই। তখন বলবে, আমি তোমার।
এদিকে, শনিবার শুক্রবার বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে কক্সবাজার যাওয়ার পথে প্রথমে গতিরোধ ও পরে অপহরণের তথ্য দিয়ে নববধূ ও বরকে থানায় নিয়ে যান। পটিয়া থানার উপ-পরিদর্শক নাদিম মাহমুদ জানিয়েছেন, অপহরণের অভিযোগ পেয়ে প্রথমে গাড়িসহ সস্ত্রীক থানায় নেয়া হয়। সেখানে জানা যায় তারা দু’জন স্বামী স্ত্রী। পরে বর অভিযোগ করেন মহাসড়কে গাড়ির গতিরোধ করে তার স্ত্রীকে অপহরণের চেষ্টা করেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ প্রেমিকসহ ৪ জনকে আটক করেন। পরে উভয় পক্ষের স্বজনদের উপস্থিতিতে প্রেমিক ও তার সহযোগিরা আর কখনো এ ধরনের অপরাধ করবে না মর্মে মুচলেকা দিলে রাতে তাদের মুক্তি দেয়া হয়।