সর্বোচ্চ আদালত অবমাননাকারীদের শাস্তি প্রয়োজন

15

দেশে আইনের শাসন বজায় রাখার স্বার্থে ও বিচারপতিদের সম্মান রক্ষার্থে সর্বোচ্চ আদালত অবমাননাকারী বিএনপির আইনজীবীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে আটটায় নগরীর জিইসি মোড়ে কে-স্কোয়ার মিলনায়তনে টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম-এর যুগপূর্তি অনুষ্ঠানের শুরুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি এক সপ্তাহ পেছানোতেই বিএনপির আইনজীবীদের হট্টগোলের কারণে দেশের মাননীয় প্রধান বিচারপতি এবং মাননীয় বিচারপতিবৃন্দকে এজলাস ছাড়তে হয়েছে। নজীরবিহীন এ ন্যক্কারজনক ঘটনা শুধু নিন্দনীয়ই নয়, দেশের সামগ্রিক আইন-আদালতের প্রতি হুমকি ও সর্বোচ্চ আদালতকে অবজ্ঞা-অসম্মানের শামিল। দেশে আইনের শাসন বজায় রাখার স্বার্থে এঘটনার জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া আবশ্যক, বলেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বেগম জিয়ার জামিন হবে কি হবে না, সে বিষয়ে শুনানি পেছানোতেই যদি সর্বোচ্চ আদালতে হট্টগোল হয়, জামিন হলে তারা জ্বালাও-পোড়াও করে কতটা অরাজকতা করবে, সেটি গভীর উদ্বেগের বিষয়।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মাননীয় প্রধান বিচারপতি উপস্থিত ছিলেন সেখানে তারা যে ধরনের হট্টগোল করেছে, গন্ডগোল করেছে দেশের ইতিহাসে এটি একটি কলংকজনক ঘটনা ও দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তারা যে এই প্রথম এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তা নয়। আপনাদের মনে আছে, অতীতে যারা প্রধান বিচারপতির দরজায় লাথি মেরেছিল এবং বৃহস্পতিবারের ঘটনার প্রেক্ষিতে মাননীয় প্রধান বিচারপতি ও বিচারপতিগণ এজলাস ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। তাদের যে উদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ, এটি আদালতের প্রতি হুমকিস্বরূপ। এবং আইন-আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন।
আদালতে বিএনপিপন্থী আইনজীবিদের এ ধরনের আচরণ সরকার এবং বিচারবিভাগের উপর চাপ প্রয়োগের কৌশল কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিচারপতি এবং বিচার বিভাগকে হুমকি প্রদর্শন, যে কারণে বিচারপতিগণ এজলাস ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা দেশের ইতিহাসে আগে কখনো হয়নি।
তিনি বলেন, দেশের ও আইনের স্বার্থে এবং বিচারপতিদের সম্মান রক্ষার্থে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। বিজ্ঞপ্তি