সর্বজনীন বৌদ্ধ শিক্ষা সমাজকে প্রগতিমুখী হতে প্রেরণা যোগায়

37

বৌদ্ধ শিক্ষা-সংস্কৃতির বিশ্বজনীন দৃষ্টিভঙ্গি, মহৎ লক্ষ্য, উদার মানবিক ও যুক্তিবাদী চিন্তার প্রভাব যেদেশে পড়েছে সেদেশ বিদ্যাশিক্ষায় মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে গেছে। তথাগত বুদ্ধের শিক্ষা মানুষের অন্তর চেতনাকে বিকশিত করে। তার সর্বজনীন বৌদ্ধ শিক্ষা সমাজ-রাষ্ট্রকে নৈতিক শিক্ষায় প্রগতিমুখী হওয়ার প্রেরণা যোগায়।
বৌদ্ধ শিক্ষার অন্যতম ফসল হলো ৮ম-৯ম শতাব্দীর সিদ্ধাচার্যদের রচিত ‘চর্যাপদ’ যেটি বাংলা ভাষার আদিগ্রন্থ হিসেবে সমাদৃত। কাজেই বৌদ্ধ শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করেই আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণীত হয়েছে। তাই বৌদ্ধশিক্ষার প্রয়োজনীয় উপাত্তগুলোর ওপর যত বেশি গবেষণা হবে তত বেশি মানবজাতি উপকৃত হবে।
গত ২৩ মার্চ নন্দনকানন ফুলকি এ কে খান স্মৃতি মিলনায়তনে সেন্টার অব এক্সেলেন্স ইন বুড্ডিস্ট স্টাডিজ আয়োজিত সেমিনার, উপাধি, সম্মাননা ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তারা উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রফেসর ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়–য়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি ও বুড্ডিস্ট স্টাডিজ বিভাগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান, একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রফেসর ড. সুকোমল বড়ুয়া। ‘সর্বজনীন-গণতান্ত্রিক বৌদ্ধ শিক্ষা ব্যবস্থা : একটি পর্যালোচনা’ শীর্ষক সেমিনারের প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সীতাকুন্ড লতিফা সিদ্দিকী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শিমুল বড়ুয়া। প্রবন্ধের উপর আলোচনায় অংশ নেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আই ই আর এর সহযোগী অধ্যাপক ড. উদিতি দাশ। স্বাগত ভাষণ দেন সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার বড়ুয়া আনন্দ।
শুক্লা বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন প্রফেসর ড. দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান বড়ুয়া। সংগঠনের বার্ষিক প্রকাশনা ‘বুড্ডিস্ট এক্সেলেন্স’ সম্পাদক শ্যামল চৌধুরীর সম্পাদকীয় বক্তব্যের পর অতিথিবৃন্দ স্মরণিকা উন্মোচন করেন। শেষে দক্ষিণ কোরিয়ার শান্তি সংগঠন কর্তৃক বিশ্বশান্তি ও যুদ্ধ বন্ধে কাজ করার জন্য বিশ্বশান্তির প্রবক্তা প্রফেসর ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়াকে দেয়া সনদপত্র প্রধান অতিথি হস্তান্তর করেন। বিজ্ঞপ্তি