সর্বজনীন চার্জার নিয়ে ইইউ প্রস্তাবে অ্যাপলের ‘না’

45

সব স্মার্টফোনের জন্য একটি সর্বজনীন চার্জার আনতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে অ্যাপল। এটি উদ্ভাবনের জন্য বাধা হবে এবং অনেক বেশি ইলেকট্রনিক বর্জ্য তৈরি করবে বলে সতর্ক করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এক সপ্তাহ আগেই সার্বজনীন এই চার্জিং ব্যবস্থা আনার প্রস্তাব করেছে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট। রেডিও ইকুপমেন্টের জন্য একটি সার্বজনীন চার্জার আনতে একটি সংশোধিত খসড়া আইনও চালু করার কথা বলা হয়েছে প্রস্তাবে। সার্বজনীন এই চার্জার আনা হলে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের চেয়ে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে অ্যাপলের ওপর। প্রতিষ্ঠানের বেশিরভাগ পণ্যেই ব্যবহার করা হয় লাইটনিং কেবল, যেখানে এখন অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলো এগোচ্ছে ইউএসবি-সি কানেক্টরের দিকে। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
অ্যাপলের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা মনে করি সব স্মার্টফোনের কানেক্টরগুলোর ধরনে নীতিমালা আনলে তা উদ্ভাবনের জন্য বাধা হবে, উদ্ভাবনে অনুপ্রেরণা দেবে না। আর এতে ইউরোপের ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন এবং এতে অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে’।
প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, নীতিমালার কোনো দরকার নেই, কারণ প্রযুক্তি ইতোমধ্যেই ইউএসবি-সি কানেক্টর বা কেবলের দিকে এগোচ্ছে। আমরা আশা করছি কমিশন এমন কোনো সমাধান বের করবে যাতে উদ্ভাবনের ক্ষমতা সীমিত না হয়’- বলেছে অ্যাপল।
অ্যাপলের নির্দেশে কোপেনহেগেন ইকোনোমিস-এর চালানো এক গবেষণা দেখা গেছে নীতিমালার মাধ্যমে গ্রাহককে সার্বজনীন চার্জারে বাধ্য করা হলে অন্তত দেড়শ’ কোটি ইউরোর ক্ষতি হবে।
এক দশকের বেশি সময় ধরে সার্বজনীন চার্জার আনার লক্ষ্যে কাজ করছে ইউরোপিয়ান কমিশন। ২০০৯ সালে অ্যাপল, স্যামসাং, হুয়াওয়ে এবং নকিয়ার স্বেচ্ছায় অংশগ্রহণে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়। ২০১১ সালে বাজারে আসা স্মার্টফোনগুলোর জন্য একটি সার্বজনীন চার্জিং ব্যবস্থা আনতে ওই চুক্তি করা হয়।
কমিশনের এক কর্মকর্তা বলেন, প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব উদ্যোগ কাজ করছে এবং এখন আইনের দিকে তাকানোর সময়।