সরকারি নির্দেশনা মেনে চলুন করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করুন

70

করোনা ভাইরাস মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ার ফলে স্মরণকালের যে বৈশ্বিক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় চলমান রয়েছে এতে মনোবল না হারিয়ে, আতংকগ্রস্থ না হয়ে এতে সচেতনতার মধ্য দিয়ে ব্যক্তিক,পারিবারিক,সামাজিক ও সমষ্টিগতভাবে মোকাবেলা করে সংকট উত্তরণের জন্য নগরবাসীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। গত ২৫ মার্চ গণমাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, করোনা ভাইরাস বাংলাদেশেও হানা দিয়েছেন। এর ফলে জনস্বাস্থ্য স্বার্থ রক্ষা হুমকির কবলে পড়েছে। সরকার এই পরিস্থিতিতে বিপর্যয় কাটিয়ে উঠার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। সর্বোপরি সরকারিভাবে কিছু নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিভিন্ন উপায় ও প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে সংকল্পবদ্ধ হয়ে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় নিবেদিত হয়েছেন। ইতোমধ্যেই সরকারিভাবে ১০ দিনের ছুটি ঘোষণাসহ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত নির্বাচনের তারিখ, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়া সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগামী ৯ই এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষনা করা হয়েছে। এছাড়া যারা আক্রান্ত হয়েছেন বা আক্রান্ত হতে পারেন তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিধিমালা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। বিশেষ করে বিদেশ প্রত্যাগত প্রবাসী এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশীদের কোরাইন্টানের অধীনে এনে এই ব্যাধির সংক্রমন বিরোধী কর্মপন্থা পরিচালিত হচ্ছে। বিবৃতিতে দু:খ প্রকাশ করে বলা হয়, দেখা যাচ্ছে অনেক বিদেশ প্রত্যাগত প্রবাসী ও বিদেশী কোয়ারাইন্টেন না মেনে প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে। তাদের এই অসাবধনতা ও অসচেতনতা সত্যি উদ্বেগজনক। আমাদের মনে রাখতে হবে,এই সংক্রমন ব্যাধিতে নিজেকে সুরক্ষা এবং অন্যদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য পারষ্পরিক উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ইতোমধ্যে দেশব্যাপী সড়ক,রেল ও নৌপথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং আগামীকাল থেকে গণপরিবহন ব্যবস্থাপনা অনির্দ্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত থাকবে। এছাড়াও অন্যান্য জরুরী স্বাস্থ্য পরিসেবা ও কার্যক্রমগুলোকে আরো বেশি কার্যকর করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সরকারিভাবে ছুটি ঘোষনাকালীন সময়ে ঔষধের দোকান, খাবার সামগ্রীর দোকান,মুদির দোকান,কাঁচা বাজার ছাড়া অন্যসব দোকানপাট ও শপিংমল বন্ধ থাকছে। সামাজিক দূরত্ব ও জনসচেতনতা রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসন ও সেবা সংস্থাগুলোকে সহযোগিতা করার জন্য ইতোমধ্যে সশন্ত্রবাহনীকে মাঠে নামানো হয়েছে। এই সমস্ত প্রয়োজনীয় ও জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতা, কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ এবং তাঁর প্রণোদনা অবশ্যই প্রশংসনীয়। এখন আমাদের সবচেয়ে বড় কর্তব্য হলে প্রধানমন্ত্রীর এসব কার্যকরী পদক্ষেপ ও প্রণোদনা ও নির্দেশনানুযায়ী নিজের ও অন্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারলেই সংকট থেকে উত্তোরণ করে আমারা আবারও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারবো। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে করোনা ভাইরাসকে পুঁজি করে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী ও মুনাফালোভী সিন্ডিকেট চালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম এবং করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সরঞ্জাম ও প্রতিসেধকের আকাশ ছোঁয়া দাম বাড়িয়ে হাতিয়ে নিয়ে ভোক্তা ও ক্রেতা সাধারনের প্রতি অমানবিক আচরণ করছে। তাদের এই নির্লজ্জ মনোবৃত্তির বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।আমাদের দলের মধ্যে যারা সমাজ হিতৈষী ও বিত্তবান আছেন তাদের প্রতি অন ুরোধ আপনারা আপনাদের সামর্থ্য অনুযায়ী দিনমজুর, খেটেখাওয়া মেহনতি মানুষের আর্থিক সহযোগিতা সহ মানবীয় কাজকর্মে আপনার সহযোগিতা অব্যাহত রাখবেন বলে আমরা আশা করি।