সরকারকে নিত্যপণ্য মজুদের পরামর্শ সংসদীয় কমিটির

16

আলু, পেঁয়াজসহ নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে আগেভাগে চাহিদা ঠিক করে পণ্য মজুদ রাখার পরামর্শ দিয়েছে সংসদীয় কমিটি। এক্ষেত্রে কমিটি অন্তত ৫/৬ মাস আগে কোন কোন পণ্যের চাহিদা কত তা নির্ধারণ করে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে আমদানির মাধ্যমে ওইসব পণ্য জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে মজুদ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। কমিটির সভাপতি তোফায়েল আহমেদের সভাপতিত্বে বৈঠকে অন্যদের মধ্যে কমিটির সদস্য বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি, মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী, তাহজীব আলম সিদ্দিকী, সেলিম আলতাফ জর্জ এবং সুলতানা নাদিরা অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে কমিটি ‘কোম্পানি (দ্বিতীয় সংশোধন) বিল, ২০২০’ এর রিপোর্ট জাতীয় সংসদে উপস্থাপনের জন্য
সুপারিশ করে বলে সংসদ সচিবালয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এছাড়া বৈঠকে নিত্যপণ্যের বাজার অস্থিতিশীল হলে তা মোকাবিলার জন্য অর্থ, বাণিজ্য, কৃষি এবং খাদ্যসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে বৈঠক করে সমস্যা চিহ্নিতকরণ এবং তা থেকে উত্তরণের পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বৈঠকে কমিটি সুপারিশ করে।
বৈঠকে দেশের মানুষের নিজস্ব চাহিদা মেটানোর জন্য উৎপাদন বাড়ানোর ওপর কমিটি বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করে। এছাড়া, আগামি রমজানে দ্রব্যমূল্য যাতে স্থিতিশীল থাকে সে লক্ষ্যে এখনই ভোক্তা সাধারণের নিত্যপণ্যের চাহিদা পূরণের জন্য (ডাল, তেল, চিনি, ছোলা, খেজুর এবং পেঁয়াজ ইত্যাদি) আগাম কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে বলে বৈঠকে জানানো হয়।
এদিকে বৈঠকে টিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়- টিসিবির অনুমোদিত মূলধন ৫ কোটি টাকা থেকে এক হাজার টাকায় উন্নীত করা হলেও টিসিবির অনুকূলে উক্ত অর্থ বরাদ্দ না থাকার কারণে টিসিবির পণ্য করে সরকারের গ্যারান্টির উপর নির্ভর করতে হয়। এর জন্য পণ্য সংগ্রহের দেরি হয় এবং সুদ জনিত কারণে ভর্তুকি বৃদ্ধি পায়।
বৈঠকে জানানো হয়, পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সেপ্টেম্বর মাস থেকে তারা খোলাবাজারে পেঁয়াজ বিক্রি কার্যক্রম শুরু করেছে। তারা চলতি অর্থবছরে দেড় লাখ টন পেঁয়াজ কিনে তা বিক্রির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী আন্তর্জাতিক বাজার থেকে পেঁয়াজ কেনার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। খবর বাংলা ট্রিবিউনের