সময়কালে ত্বরিকতের বস্তুনিষ্ঠ ও নির্মোহ মূল্যায়নও সময়ের দাবী

47

মাইজভান্ডার শরিফ গাউসিয়া হক মন্জিলের সাজ্জাদানশীন সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভান্ডারী (ম.)’র সাথে খলিফায়ে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারীর আওলাদদের সাথে জমিয়তুল ফালাহ্ মসজিদের নিচতলায় শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী ট্রাস্টের উদ্যোগে আওলাদে খলিফায়ে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী (ক.)-এর সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী ট্রাস্টের সম্মানিত ম্যানেজিং ট্রাস্টি আওলাদে গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী এবং শাহানশাহ সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী (ক.)’র একমাত্র পুত্র গাউসিয়া হক মন্জিলের সাজ্জাদানশীন হযরত শাহ্ সুফি সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান (ম.)-এর সভাপতিত্বে সভায় মাইজভান্ডারী খলিফাদের আওলাদবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। শুরুতেই সভাপতি বলেন, ‘সমস্ত বিশ্ব এখন এক বিশাল পরিবর্তনের সম্মুখীন। এ পরিবর্তন শুধু আর্থ-রাজনৈতিক সামাজিক গতিপ্রবাহে সীমাবদ্ধ নেই বরং ধর্ম এমনকি ত্বরিকত জগৎও ইতিবাচক এবং নেতিবাচক উভয় প্রকার পরিবর্তনের পরীক্ষাগারে পরিণত হয়েছে। এ কারণে ত্বরিকত জগৎ সংক্রান্ত পরিবর্তন সমূহের বস্তুনিষ্ঠ ও নির্মোহ মূল্যায়ন এবং প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ সময়ের দাবী’।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, ‘সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, বস্তুতান্ত্রিক পরিবর্তনের ফলে মুসলিম উম্মাহর মাঝে ব্যাপক মনোজাগতিক পরিবর্তন সংঘটিত হয়েছে। সিফ্ফিনের যুদ্ধের (৬৫৭ খৃ.) পর গড়ে ওঠা ধর্মদ্রোহী খারেজি মতবাদ বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে আর্থ-রাজনৈতিকভাবে সংগঠিত হয়ে ত্বরিকত ও তাসাওউফ ধারার বিরুদ্ধে অপপ্রচার এবং প্রাণঘাতি যুদ্ধে নেমেছে। বর্তমান যুব সমাজের মধ্যে তাসাওউফ বিরোধী মনোভাব গড়ে তুলতে এরা নানারকম সাংগঠনিক কার্যক্রম এবং প্রচারনা কর্মসূচিকে জোরালো করেছে। এমতাবস্থায় ত্বরিকতপন্থী বিশেষত বাংলার জমিনে প্রতিষ্ঠিত ও বিকশিত একমাত্র ত্বরিকা, ‘ত্বরিকা-ই মাইজভান্ডারীয়া’র অনুসারীদের মধ্যে মতবিনিময় এবং সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা অতি জরুরি। মাইজভান্ডারীয়া ত্বরিকা যেহেতু একটি ইসলামী দাওয়াতি এবং শুদ্ধিবাদী দার্শনিক আন্দোলন, সেহেতু যুগচাহিদা এবং প্রয়োজন সম্পর্কে উদাসীন থাকা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তরুণ-যুবকদের মনে তাসাওউফ সম্পর্কে খারেজি মতবাদীরা ভুল ধারণা অনুপ্রবিষ্ট করে চলেছে ইসলাম ধর্ম, বিচারসাম্য, তাসাওউফ এবং মানব কল্যাণ সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা দিয়ে নতুন প্রজন্মেকে এ ধরণের বিভ্রান্তির বেড়াজাল থেকে মুক্ত করা জরুরী হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ খলিফায়ে আওলাদদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা সৈয়দ ফরিদুল আবচার আমিরী, মাওলানা শেখ শহীদুল্লাহ ফারুকী, অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ সগীর আহমদ ওসমানী, সৈয়দ আবু তালেব ফরহাদাবাদী, পীরজাদা নঈমুল কুদ্দস আকবরী, খাজা নিজাম উদ্দিন সালেকী, মাওলানা করিমুল মোস্তফা আমিরী, মাওলানা আবুল ফজল মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ সুলতানপুরী সহ পঞ্চাশের অধিক দরবারের আওলাদবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি