সম্প্রীতির বন্ধন শক্তিশালী করার আহব্বান

36

মৈত্রী, বন্ধুত্ব ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন শক্তিশালী করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়ার আহব্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় নগরের নন্দনকাননে প্রবারণা উৎসবের উদ্বোধনকালে তিনি এ আহব্বান জানান। উৎসবকে ঘিরে বৌদ্ধ তরুণ ও যুবারা বাহারি রঙের বিভিন্ন আকারের ফানুশ ওড়ান।
চট্টগ্রামের মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী উল্লেখ করে বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, পূর্ণিমার আলোয় আজ উদ্ভাসিত বাংলার জনপদ। প্রবারণা হচ্ছে পৃথিবীর যা কিছু মঙ্গলকর, যা কিছু ভালো তাকে প্রকৃষ্টরূপে বরণ করে নেওয়া। একই সঙ্গে পৃথিবীতে যা কিছু মন্দ, পাপ তা বর্জন করাই হচ্ছে প্রবারণা। এটি বৌদ্ধদের উৎসব হলেও চট্টগ্রামের বিশেষ করে নন্দনকাননের এ উৎসব আমাদের জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সব সম্প্রদায়ের সব মানুষের একটি হেরিটেজ ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। বৌদ্ধদের পাশাপাশি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ এ উৎসবের সঙ্গে একাত্ম হন। এটি হচ্ছে বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক ঐতিহ্য।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা প্রবারণা ও কঠিন চীবর দানোৎসব উপলক্ষে বাণীতে বলেছেন, বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক ঐতিহ্যকে ধারণ করে।
বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ক’দিন আগে সর্বজনীন দুর্গাপূজা হয়েছে। পবিত্র ঈদ, বড়দিনে জাতিভেদ ভুলে গিয়ে একই সঙ্গে আনন্দ উৎসব করি। আমরা বাংলাদেশে বিভাজনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। দেশে বিভাজনের রাজনীতির বিপরীতে বঙ্গবন্ধু কন্যা সব স¤প্রদায়ের ও ধর্মের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে সমৃদ্ধ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে আত্মনিয়োগ করেছেন। তিনি জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে বাংলাদেশের সমৃদ্ধি এবং বঙ্গবন্ধু কন্যার দীর্ঘজীবনের জন্য প্রার্থনার আহব্বান জানান।
বৌদ্ধ সমিতির চেয়ারম্যান অধীর রঞ্জন বড়ুয়াসহ প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।