সমস্যায় জর্জরিত চন্দনাইশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে

40

চন্দনাইশ সদরে ৫০ শয্যা ও দোহাজারীতে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট পৃথক দু’টি হাসপাতাল রয়েছে। তাছাড়া ২৫ কমিউনিটি ক্লিনিক ও ৬টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। চন্দনাইশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২১ ডাক্তারের স্থলে রয়েছে ৯ জন। দোহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৭ রয়েছে ৬ জন। ৫টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ৫ জনের স্থলে রয়েছে ৩ জন। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট চন্দনাইশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১’শ ৫০টি পদে ১২ জন ডাক্তারসহ ৫৩টি পদ খালি রয়েছে। দোহাজারীতে ৪১টি পদে ১ জন চিকিৎসকসহ ১৫টি পদ খালি রয়েছে। ২ লক্ষাধিক জনগোষ্টীর এ চন্দনাইশে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে সরকার চন্দনাইশ সদরের ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালকে ৫০ শয্যায় উন্নতি করছে। কিন্তু ২০০৭ সালে চন্দনাইশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫০ শয্যায় উন্নতি করার পর ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট মাসে ফটিকছড়ি থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেও অদ্যাবধি পূর্ণাঙ্গ রূপে ৫০ শয্যার হাসপাতাল চালু হয়নি। তাছাড়া চন্দনাইশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরাতন ভবনে ব্যাপক সমস্যা থাকলেও তা সংস্কার করা হচ্ছে না। বর্তমান ডিজিটাল যুগে চন্দনাইশ ও দোহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনালক এক্সেরে মেশিন নষ্ট হয়ে দীর্ঘ দিন যাবৎ পড়ে আছে। ফলে এলাকার সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা যথাযথ সময়ে হাসপাতালে উপস্থিত না হওয়ার কারণে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এ জনপদের মানুষ। অথচ প্রধানমন্ত্রী যারা হাসপাতালের আবাসিক এলাকায় বা গ্রামের হাসপাতালে অবস্থান করবে না তাদেরকে চাকরি ছেড়ে দেয়ার কথা বলেছেন। কিন্ত কে শুনে কার কথা। চন্দনাইশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কনসাল্টেন পদে ডাক্তারেরা অধিকাংশ সময় আসেন না। আসলেও নির্দিষ্ট সময়ে হাসপাতালে না আসার কারণে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। চন্দনাইশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার বখতিয়ার আলম জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৫০ শয্যায় উন্নিত করলেও অদ্যাবধি সে সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয় নাই। তাছাড়া ৩১ শয্যার সরঞ্জাম দিয়ে চলছে হাসপাতাল। হাসপাতালের মূল ভবনসহ ভবন গুলো ঝরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। আবাসিক ভবনগুলো বসবাসের অনুপোযোগী হয়ে পড়ায় আবাসিক এলাকায় চিকিৎসকেরা স্ব-পরিবারে থাকতে চায় না। কমিউনিটি ক্লিনিক গুলোতে ৩জন কর্মকর্তাসহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিভিন্ন পদ খালি রয়েছে। তাছাড়া চন্দনাইশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১২ জন ডাক্তারের পদও খালি রয়েছে। হাসপাতালের বাথরুম গুলোর মেরামতের সু-ব্যবস্থা না থাকায় ব্যবহার অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। এক্সেরে মেশিন দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে। সরঞ্জাম ও আসবাবপত্রের অভাবে ৫০ শয্যার হাসপাতাল পূর্ণাঙ্গরূপে চালু করা যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে তিনি উর্ধ্বেতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে একাধিকবার চিঠিও দিয়েছেন বলে জানান।