সব দোষ আমার : মুমিনুল

30

অধিনায়কত্বের অভিষেকেই এমন তিক্ত অভিজ্ঞতা। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত কি ঠিক ছিল? মুমিনুল হক যেভাবে আউট হয়েছেন, অধিনায়ক হিসেবে কি তার আরেকটু দায়িত্ব সচেতন হওয়া উচিত ছিল না? এমন প্রশ্ন তো আসছেই। তবে বাংলাদেশ দলের নতুন টেস্ট অধিনায়ক প্রশ্ন তোলার সুযোগটাই দিলেন না প্রথম দিনশেষে সংবাদ সম্মেলনে। টস থেকে শুরু করে ব্যাটিং, ব্যর্থতার সব দায় নিজের কাঁধে নিয়ে নিলেন তিনি। টস ভাগ্যটা বাংলাদেশের পক্ষে ছিল। কিন্তু ব্যাটিংয়ে নেমে সেই ভাগ্যকে দুর্ভাগ্যে পরিণত করে দেন ব্যাটসম্যানরা। টেস্ট কিভাবে খেলতে হয় সেটাই যেন ভুলে গিয়েছিলেন তারা। শুধু মুশফিকুর রহীম আর মুমিনুল হক যা একটু লড়েছেন।
তবে সেট হয়ে আউট হয়েছেন তারাও। ৩৭ করে মুুমিনুল বোকার মতো এক আউট হয়েছেন। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ঘূর্ণি ডেলিভারিটি ছেড়ে দিয়ে বোল্ড হন তিনি। মুশফিক তিনবার জীবন পেয়ে করেন ৪৩। লিটন দাসের ব্যাট থেকে আসে ২১ রান। বাকিদের কেউ বিশের ঘরও ছুঁতে পারেননি।
ভুল তো করেছেন সবাই। তবে ব্যর্থতার দায় আসলে পড়ে অধিনায়কের কাঁধেই। দিনশেষে তাই টস জিতে ব্যাটিং নেয়া কিংবা বোকার মতো মুমিনুলের আউট হওয়া নিয়ে কথা হচ্ছে। বাংলাদেশ দলের টেস্ট অধিনায়ক অবশ্য নিজের দোষ স্বীকার করে নিলেন, ‘আমরা খুব বাজেভাবে গুটিয়ে গেছি। আমার মনে হয়, ভুলটা আমার। সিদ্ধান্ত খুব খারাপ ছিল। যখন আমি আর মুশফিক ভাই সেট হয়ে গিয়েছিলাম, মুশফিক ভাই ভালো খেলছিলেন। লিটনও ভালো খেলছিল, কিন্তু ভুলটা আমার। আমি ভুল সময়ে আউট হয়েছি। মুশফিক ভাইকে নিয়ে আমি আরও ভালো ইনিংস খেলতে পারতাম। যদি সেটা হতো, তবে এখন ভালো পজিশনে থাকতাম।’
ব্যাটিংয়ের সময় ভুলভাবে আউট হয়েছেন সেটাও মেনে নিচ্ছেন মুমিনুল। তিনি বলেন, ‘আমি ব্যাটিংয়ে খুব বড় টেকনিক্যাল ভুল করে আউট হয়েছি। আমার মনে হয়, আমাদের এই টেস্টের জন্য প্রস্তুতি ভালো ছিল। গত ৫ মাসে আমি নয়টি চারদিনের ম্যাচ খেলেছি। এর চেয়ে ভালো প্রস্তুতি হতে পারে না। তবে আমি এমন বিশ্বমানের বোলারদের বিপক্ষে খেলিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আপনাকে মানসিকভাবে শক্ত হবে। আমাদের প্রতিপক্ষ মানসিকভাবে খুবই শক্তিশালী।’