সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হবে

86

সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বলেছেন, অস্ত্র-পেশিশক্তির জোরে বা রাজা-বাদশাহের প্রচেষ্টায় পৃথিবীর কোথাও ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়নি। সারা বিশ্বে ও এ উপমহাদেশে আমরা ইসলাম পেয়েছি আল্লাহর নৈকট্যধন্য আউলিয়ায়ে কেরামের মাধ্যমে। এদেশের মাটি ও মানুষের উপযোগী তরিকায়ে মাইজভান্ডারীয়া প্রবর্তন করে সব ধর্মের মানুষের মাঝে সম্প্রীতিবোধ গড়ে তুলেছেন গাউছুল আযম সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী (ক.)। তিনি বলেন, ডেঙ্গু রোগ আজ মহামারীর রূপ নিয়েছে। অথচ দুঃখজনক যে ডেঙ্গুর আপদ মোকাবেলায় সর্বশক্তি নিয়োজিত না করে ডেঙ্গু নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো নিছক স্বার্থের রাজনীতি করছে। বিদ্বেষ ও দোষারোপের রাজনীতি না করে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা করার আহব্বান জানান তিনি। মদিনা ইসলামী মিশনের উদ্যোগে গত ৫ আগস্ট সোমবার বিকেলে নগরীর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে গাউসুল আযম সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারীর (ক.) বিশ্বব্যাপী বেলায়তের প্রভাব শীর্ষক সেমিনারে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন মদিনা ইসলামী মিশন বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান মাওলানা মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন আশরাফী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গবেষক আল্লামা মুফতি ছালেহ সুফিয়ান ফরহাদাবাদী মাইজভান্ডারী। মুখ্য আলোচক ছিলেন চবির সহযোগী অধ্যাপক ড. আল্লামা মুহাম্মদ জাফর উল্লাহ। স্বাগত বক্তব্য দেন হাফেজনগর দরবার শরিফের সাজ্জাদানশিন শাহজাদা সৈয়দ ফরিদুল আনোয়ার। মুখ্য আলোচক ড. জাফর উল্লাহ বলেন, গাউসুল আযম সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী সব ধর্মের মানুষকে মাইজভান্ডারী তরিকত্বের মাধ্যমে একই প্লাটফরমে এনে যুগ সংস্কারকের ভূমিকা পালন করেছেন। সাম্য, সম্প্রীতি ও মানবতাই মাইজভান্ডারী তরিকতের মূল দর্শন। মূল প্রবন্ধে আল্লামা ছালেহ সুফিয়ান বলেন, গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী সমগ্র জগতের জন্য গাউসুল আযম। মাশরেকি তথা পৃথিবীর পূর্ব প্রান্তে জন্ম নেওয়ায় তাঁকে গাউসুল আযম মাশরেকি বলা হলেও সত্যিকার অর্থে তিনি পুরো জগতের জন্য গাউসুল আযম বা ত্রাণকর্তা। তাঁকে খন্ডিত করে দেখার সুযোগ নেই। সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা নিজাম উদ্দিন আশরাফী বলেন, মাইজভান্ডার দরবার সকল জাতি গোষ্ঠীর মিলন কেন্দ্র। সকল ধর্মের মানুষের কল্যাণে মাইজভান্ডারী তরিকা প্রবর্তন করেন গাউসুল আযম সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী (ক)। স্বাগত বক্তব্যে শাহজাদা সৈয়দ ফরিদুল আনোয়ার বলেন, আল্লাহর ওলীগণ দুনিয়ায় সর্বোত্তম আদর্শের ও সেরা গুণাবলির অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব।
দুনিয়া-আখিরাতে তাঁদের কোনো ভয় ও দুঃখ নেই। মদিনা ইসলামী মিশন ইসলামের শাশ্বত দর্শন প্রচার ও আউলিয়ায়ে কেরামের আদর্শে আলোকিত মানুষ গড়ায় কাজ করে যাচ্ছে। সেমিনারে পঠিত প্রবন্ধের ওপর আলোচনায় অংশ নেন প্রাক্তন সিভিল সার্জন ডা: সরফরাজ খান চৌধুরী, শাহাজাদা সৈয়দ মীর জসিম উদ্দিন, পীরে তরিকত্ব মাওলানা সৈয়দ জাফর ছাদেক (ম.জি.আ), পীরে তরিকত্ব আল্লামা আবুল ফছিহ মুহাম্মদ আলাউদ্দিন, আলহাজ্ব এস.এম শফি, মুসলেহ উদ্দিন মুহাম্মদ বদরুল, শাহাজাদা গোলাম মাওলা চৌধুরী। শাহাজাদা সৈয়দ গোলাম রসুলের সঞ্চালনায় সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন, শাহাজাদা সৈয়দ মুহাম্মদ সিরাজউদ্দৌল্লা, শাহাজাদা সৈয়দ মাওলানা আশেকুর রহমান হাফেজনগরী, আলহাজ্ব এ.এফ মুহাম্মদুর রহমান, শাহাজাদা মাওলানা সৈয়দ মুশকিল কোশা আমিরী,মুহাম্মদ সায়েদুর রহমান, মাওলানা মুহাম্মদ নুরুচ্ছাফা আল কাদেরী, পীরে তরিকত্ব গোলাম মুহাম্মদ আবেদ চিশতি, শাহাজাদা সৈয়দ আহমুদুল হক মাইজভান্ডারী, মুহাম্মদ ওয়াসিম আকরাম, ব্যারিস্টার বদরুল আলম চৌধুরী, কাজী আহসান ইকবাল মঞ্জু, মুহাম্মদ হাসান সিকদার(রাজা) আল মাইজভান্ডারী, কাজী আহসানুল মোরশেদ কাদেরী, মাওলানা বশিরুল আলম নেজামী, গাজী মুহাম্মদ খোরশেদ শাহ চিশতি, মুহাম্মদ সুলতান উদ্দিন বেলালী। সালাত-সালাম শেষে দেশ বিশ্ববাসী ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি-কল্যাণ কামনায় মুনাজাত করা হয়। বিজ্ঞপ্তি