সবার উপরে পাইরেটস অব চিটাগাং আবাহনীর জয়ে তলানিতে শতদল

37

সিজেকেএস ইস্পাহানী প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের পাঁচ খেলার পাঁচটিতেই জয় তুলে নিয়ে পয়েন্ট তালিকায় সবার শীর্ষে অবস্থান করছে পাইরেটস অব চিটাগাং। গতকাল জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সর্বশেষ পঞ্চশ রাউন্ডের খেলায় রাইজিং স্টার ক্লাব চার উইকেটে হারিয়েছে। এর আগে তারা প্রথম খেলায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন একাদশকে, দ্বিতীয় খেলায় শহীদ শাহজাহান সংঘকে, তৃতীয় খেলায় শতদলকে এবং চতুর্থ খেলায় ইস্পাহানী স্পোর্টিং ক্লাবকে হারের স্বাদ দেয়।
অন্যদিকে রাইজিং স্টার ক্লাবের এটি তৃতীয় পরাজয়। রাইজিং নিজেদের প্রথম খেলায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ক্রীড়া সমিতির কাছে পরাজিত হয়ে চলমান লিগে যাত্রা করে। দ্বিতীয় খেলায় এফএমসি স্পোর্টসের বিপক্ষে পাঁচ উইকেটে জয় পায়। তৃতীয় খেলায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন একাদশের ক্লাবের কাছে ছয় উইকেটে ফের পরাজিত হয়। চতুর্থ রাউন্ডের খেলায় রাইজিং স্টার তিন উইকেটে শতদলকে হারিয়ে ফের জয়ে ফিরে।
এদিকে এমএ স্টেডিয়ামে দিনের আরেক খেলায় পরপর তিন ম্যাচ হারার পর গতকাল শতদল ক্লাবকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে নিজেদের টানা দ্বিতীয় জয় পায় চট্টগ্রাম আবাহনী। অপরদিকে টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে অবনমনের শংকায় রয়েছে নগরীর স্টেডিয়াম পাড়ার ক্লাব শতদল। তারা প্রথম খেলায় এফএমসির কাছে পাঁচ উইকেটে, দ্বিতীয় খেলায় সিটি কর্পোরেশন একাদশের কাছে ৯৯ রানে, পাইরেটসের কাছে ৭১ রানে তৃতীয় খেলায় এবং রাইজিং স্টার ক্লাবের কাছে চতুর্থ খেলায় তিন উইকেটে পরাজয়ের স্বাদ নেয়।
গতকাল সকালে রাইজিং স্টার ও পাইরেটস অব চিটাগাংয়ের মধ্যকার খেলায় টস জিতে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৮৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করাতেই প্রতিপক্ষের দুই বোলার ওয়াহিদুল আলম ও ইনজামামুল হকের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করে ২১.৩ ওভারে সব উইকেট বিসর্জন দেয় রাইজিং স্টার। তাদের শরিফুল ইসলাম ২৩ এবং ওমর ফারুক ২২ রান করেন। পাইরেটস অব চিটাগাংয়ের ওয়াহিদুল একাই পাঁচটি এবং ইনজামামুল হক তিনটি উইকেট নেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাইরেটস ২০.২ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে। দলের পক্ষে ফাহাদ ২১ এবং আশরাফুল অপরাজিত ৩৩ রান করেন। রাইজিংয়ের হয়ে আসাদুর রহমান তিনটি এবং মনির আলম দুটি উইকেট দেন।
এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে শতদল প্রতিপক্ষের সম্মিলিত বোলিং ঘূর্ণির শিকার হয়ে ৭৭ রান স্কোর বোর্ডে তুলতেই সবকটি উইকেট হারায়। দলের হয়ে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান আবদুল আল জাবেদ ১৭ এবং সাত নম্বরে নামা শাহাদাত হৃদয়ের ২৫ রান ছাড়া অন্য কারো ব্যক্তিগত রানের সংখ্যা দুই পৌঁছাতে পারেনি। চট্টগ্রাম আবাহনীর হয়ে মিরাজুল হক ও আবু বক্কর তিনটি করে এবং সাদিকুর রহমান দুটি উইকেট নেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৯ রানে চার উইকেট তুলে নিয়ে আবাহনীকে বিপদে ফেলে দেন শতদল ক্লাবের বোলাররাও। কিন্তু পঞ্চম উইকেট জুটির রানে জয় দেখতে শুরু করে আবাহনী। যদিও তাদের পঞ্চম উইকেটের পতন ঘটে দলীয় ৭৫ রানে। দলের পক্ষে কাজী কামরুল ৩৪ এবং সাইদুল ইমরান অপরাজিত ২০ রান করেন। শতদলের পক্ষে শাহদাত হৃদয় তিনটি এবং সাখাওয়াত জাহেদ উল্লাহ একটি করে উইকেট নেন। আজ জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এফএমসি ও শহীদ শাহজাহান সংঘ এবং এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন একাদশ ও ব্রাদার্স ইউনিয়ন পরস্পরের বিপক্ষে লড়বে।