সবজিতে স্বস্তি মিললেও মাছের দাম বাড়তি

64

সপ্তাহ ব্যবধানে নগরীর বিভিন্ন কাঁচা বাজারে সবজির দাম অপরিবর্তিত থাকলেও বেড়েছে মাছের দাম। সামুদ্রিক মাছের সরবরাহ কম থাকায় একটু বাড়তি বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা। একই সাথে অপরিবর্তিত রয়েছে মাংস ও ডিমের দাম। অন্যদিকে খাতুনগঞ্জ পাইকারি বাজারে কেজিপ্রতি ২০ টাকা বেড়েছে মিয়ানমারের পেঁয়াজের দাম। পাইকারিতে মিয়ানমারের পেঁয়াজ ১৩০ টাকা এবং চীনের পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে এসব পেঁয়াজ ১০ থেকে ১৫ টাকা বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে। কৃষি বিপণন অধিদফতর বলছে, এখন সবজির মৌসুম। সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে দাম আরও কমবে। গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর অক্সিজেন মোড় কাঁচাবাজার, ষোলশহর ২নং গেটস্থ কর্ণফুলী কমপ্লেক্স কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ সপ্তাহে সবজির দামে কোন পরিবর্তন হয়নি। সকল সবজির দাম গত সপ্তাহের মতই রয়েছে। সে অনুযায়ী টমেটো বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ৫০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, ফুলকপি ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, লাউ ৩০ টাকা, শিম ৫০ টাকা, নতুন আলু ৩০ টাকা, পুরাতন আলু ২৫ টাকা, ওলকপি ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, শিমের বিচি ১৬০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, মরিচ ৪০ টাকা এবং মুখিকচু ৭০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
ষোলশহর কর্ণফুলী কমপ্লেক্সের বিক্রেতা মাসুদুর রহমান জানান, সবজির দাম এখন অনেক কম। সবার নাগালের মধ্যেই রয়েছে।
সবজি ক্রেতা আবরার শাহরিয়ার জানান, শীতকালীন সবজি এখন প্রচুর পরিমাণে রয়েছে, তাই দামও হাতের নাগালে। প্রত্যেক সবজির দাম এখন কম।
তবে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা করে বেড়েছে পুকুরের মাছের দাম। মাঝারি সাইজের কাতলা মাছ কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়, ১০ টাকা বেড়ে রুই মাছ ২২০ টাকা, কার্ফ মাছ ২০০ টাকা, বড় সাইজের চিংড়ি ৬০০ টাকা, কোরাল মাছ ৪৫০ টাকা। অপরিবর্তিত দামে পাঙ্গাস মাছ ১২০ টাকা এবং তেলাপিয়া ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গৃহিনী রোকেয়া বেগম বলেন, মাছের দাম একটু বেড়েছে। আরও কমা উচিত।
মাংস বিক্রেতা সোহেল রানা জানান, বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংস ৭০০ টাকা (রানের) ও হাঁড়সহ ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে খাসির মাংস কেজিপ্রতি ৭৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা।
ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়। দেশি মুরগি বাজার ভেদে প্রতিকেজি ৩৮০ থেকে ৪২০ টাকা আর সোনালী মুরগি ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ডিম বিক্রেতা আবুল কালাম বলেন, লেয়ার মুরগির ডিম প্রতিডজন ৮৪ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ১৬০ টাকা এবং হাঁসের ডিম ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চট্টগ্রাম কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. সেলিম মিয়া পূর্বদেশকে বলেন, শীতকালীন সবজি প্রচুর বাজারে ঢুকছে এবং দামও কমছে। যদি সরবরাহ স্বাভাবিক থাকে তবে দাম আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সরবরাহ কমায় মিয়ানমারের পেঁয়াজের দাম একটু বেড়েছে। প্রতিকেজিতে নাকি ২০ টাকা করে বেড়েছে। তাছাড়া চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় আমাদের কৃষকরা দেশি পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেছেন প্রতিকেজি ১২০ থেকে ১৩০ টাকা দরে। আশাকরি দেশিয় পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়লে শীঘ্রই পেঁয়াজের দামও কমে আসবে।