সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলুন

42

ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতার শিকার হয়ে আজ অস্তিত্বের সংকটে মুখোমুখি হয়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে আন্দোলন-সংগ্রামের কোন বিকল্প নেই। দেশব্যাপী বিরাজিত এই সাম্প্রদায়িকতার যাঁতাকলে পিষ্ঠ হয়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী আজ দিশেহারা হয়ে সারাদেশ জুড়ে সহায় সম্বলহীনভাবে দেশত্যাগে বাধ্য হচ্ছে। তাই প্রগতিমনা সহ সবাইকে নিয়ে এই সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িকতাকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করা অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছে।
শুক্রবার সকাল ১০টায় আন্দরকিল্লা আর্বান ভবনের ঐক্য পরিষদের কার্যালয়ে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রফেসর ড. জিনবোধি ভিক্ষু এসব কথাগুলো বলেন।
ডা. অধর লাল চক্রবর্ত্তীর সভাপতিত্বে ও অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার চৌধুরীর সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক তাপস হোড় ও বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিতাই প্রসাদ ঘোষ। বক্তব্য দেন অধ্যক্ষ বিজয়লক্ষী দেবী, অ্যাডভোকেট হরিপদ চক্রবর্ত্তী, সজল চৌধুরী, চেয়ারম্যান অসীম দেব, চেয়ারম্যান তাপস কান্তি দত্ত, জিতেন গুহ, হরিপদ চৌধুরী বাবুল, তাপস দে, সাগর মিত্র, দোলন মজুমদার, নিবাস দাশ সাগর, সুভাষ নাথ, বিষ্ণুযশা চক্রবর্ত্তী, দেবর্ষি চক্রবর্ত্তী, উৎপল রক্ষিত, মাস্টার শ্যামল দে, অনুপ বিশ্বাস, কুন্তল বড়ুয়া, সাজিব বৈদ্য, সরোজ চৌধুরী, ডা. প্রভাষ চক্রবর্ত্তী, রমা বৈদ্য, শ্যামল বিশ্বাস, পোপন ধর, প্রবীর ধর, মুন্না সেন, রতন সেন, পংকজ রুদ্র স্বপন, লিটন মল্লিক, অপু বৈদ্য, জন্মেজয় নাথ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, অবিলম্বে সংখ্যালঘু কমিশন ও সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন করে সরকারকে সংখ্যালঘুবান্ধব সরকার হিসেবে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। সভা শেষে নেতাকর্মীদের নিয়ে কেক কেটে ঐক্য পরিষদের ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি