সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার নীতির প্রশংসা

41

সন্ত্রাসবাদ ও ধর্মীয় উগ্রবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাংলাদেশকে ধর্মীয় সম্প্রীতির রোল মডেল বলেও আখ্যায়িত করেছেন তিনি। ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে মোদির সঙ্গে তার সরকারি বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ কিভাবে শান্তিপূর্ণভাবে মিলেমিশে ধর্মীয় সম্প্রীতির সঙ্গে বাস করছে তা প্রত্যক্ষ করতে বিশেষজ্ঞদের বাংলাদেশ সফর করা উচিত’।
বাংলাদেশ ও ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সপ্তম বৈঠকে অংশ নিতে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল গত ৬ আগস্ট নয়াদিল্লি গেছেন। বুধবার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের শুরুতে তিনি ভারতের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মোদি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপনে বাংলাদেশ সরকার গৃহীত কর্মসূচির অংশীদার হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি টানা তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান। বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহার করে সন্ত্রাসী, জঙ্গি ও বিচ্ছিন্নতাবাদীরা যেন ভারতসহ অন্যান্য দেশের ক্ষতি করতে না পারে সে লক্ষ্যে বাংলাদেশের গৃহীত নীতিরও ভূয়সী প্রশংসা করেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারতের সহায়তা চাওয়া হলে মোদি বলেন, ভারত সরকার রোহিঙ্গা সমস্যাটি ইতোমধ্যেই মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন করেছে। ভারত মনে করে, অবশ্যই এর সমাধান করতে হবে। বাংলাদেশে ঠাঁই নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনের জন্য আবারও মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকে আশ্বস্ত করেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠকে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল উভয় দেশের সীমান্তে মাদকসহ সব ধরনের চোরাচালান বন্ধে ভারত সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী এসব অপরাধ রোধে একটি নিরাপদ ও কার্যকর সীমান্ত প্রতিষ্ঠায় দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। বিমসটেক এই অঞ্চলের শান্তি ও উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলেও মোদি আশা প্রকাশ করেন।
এ সময় ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, সুরক্ষা সেবা বিভাগের মো. শহিদুজ্জামান ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মো. জাভেদ পাটোয়ারী উপস্থিত ছিলেন। বাসস।