সন্তানদের সুশিক্ষাই শিক্ষিত করে তোলতে হবে

62

বর্তমানে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা এক মহামারিতে রুপ নিয়েছে। তাই প্রতিদিন কোনো কোনো নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। এসব রোধ করতে হলে প্রথমে সন্তানদের সু-শিক্ষাই শিক্ষিত করে তোলতে হবে। যার যার সন্তানকে সুরুচি ও ভাল শিক্ষা দিতে পারলে সমাজে সবরকম অপরাধ কমে যাবে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সীতাকুন্ড মডেল থানা আয়োজিত সীতাকুন্ড সরকারি মহিলা কলেজ হল রুমে অনুষ্ঠিত নারীও শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধের লক্ষে মা সমাবেশে অভিভাবকবৃন্দ তাঁদের বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তারা আরো বলেন, সমাজে মাদক বন্ধ করতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের হাতে মোবাইল ফোন দেয়া যাবে না। মোবাইল ফোন ব্যবহারের মাধ্যমে অনেক শিক্ষার্থী বিপদগামী হয়। নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা করছে বেশির ভাগই কম লেখাপড়া জানা অজ্ঞ মানুষগুলো। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সীতাকুন্ড সার্কেল পিপিএম শম্পা রানী সাহা। সীতাকুন্ড মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ দেলওয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ও সীতাকুন্ড বালিকা স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা পারভীন আক্তারের সঞ্চালনায় মা সমাবেসে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সীতাকুন্ড সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ জরিনা আখতার,সীতাকুন্ড বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. দিদারুল আলম জাহাঙ্গীর, উক্ত কলেজের সহকারী অধ্যক্ষ মো. দিদারুল আলম, প্রভাষক শামীমা নার্গিস, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ও অভিভাবক জোবেদা ইয়াসমিন,বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনির ছাত্রী নাফিসা সিদ্দীকা মুনা ও জান্নাতুল নাঈমা। এতে উপস্থিত ছিলেন এসআই মো. আতাউল,সহকারী প্রধান শিক্ষক বাবুল চন্দ্র দে, আব্দুল মমিনসহ কলেজের অন্যান্য প্রভাষক অভিভাবক ও স্কুল কলেজের শতশত শিক্ষার্থী মা সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সীতাকুন্ড সার্কেল পিএম শম্পা রানী সাহা তার বক্তব্যে বলেন, পুলিশের পাশাপাশি প্রতিটি এলাকায় নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধে সচেতনতা গড়ে তোলতে হবে। মাদক সেবনের জন্য যুবকরা চুরি ডাকাতি করে থাকে। তাই সবাইকে সংগবদ্ধ হয়ে এক যুগে কাজ করতে হবে। কোনো মেয়ে কোনো প্রকার বিপদে পড়লে ৯৯৯ হেল্প লাইনে ফোন করে দ্রুত সহযোগিতা নিতে পারবে। তাই শিক্ষার্থীদের প্রতিভা বিকাশে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।