সদ্যজাত শিশুর পুষ্টির জোগানে বুকের দুধের বিকল্প নাই

55

বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ ২০১৯ উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও ইউএনডিপির যৌথ উদ্যোগে সম্প্রতি এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ আ জ ম নাছির উদ্দীনের নেতৃত্বে র‌্যালিটি চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব হতে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রীমা কমিউনিটি সেন্টারে এসে শেষ হয়। এ উপলক্ষে রীমা কমিউনিটি সেন্টারে মাতৃদুগ্ধ পান করাতে মাতা-পিতাকে উৎসাহিত করুন এ প্রতিপাদ্যর উপর এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সচিব আবু শাহেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কাউন্সিলর আলহাজ সালেহ আহমদ চৌধুরী, এএফ কবির মানিক, মোহাম্মদ আজম, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবিদা আজাদ, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম ও চসিক প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী। সভায় টাউন ম্যানেজার মোহাম্মদ সারোয়ার হোসেন খান স্বাগত বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে প্রকল্প এলাকার নারী নেতৃবৃন্দসহ টাউন ফেডারেশনের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, মায়ের দুধ শিশুর অধিকার। এ অধিকার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা নিয়েছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে মায়ের দুধ পান করা শিশুর হার ৫৫ শতাংশ। বাকী ৪৫ শতাংশ মা বুকের দুধ খাওয়ানো থেকে বিরত থাকে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে আগামীতে বুকের দুধ খাওয়ানো অনেক মা বিরত হয়ে যাবে। এতে সমাজের জন্য ভয়ানক পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। এ পরিস্থিতি উত্তরনের জন্য এক্ষুনই সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। তিনি আরো বলেন, শিশুকে শুধুমাত্র মায়ের দুধ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ভালো হলেও ছয় মাসের কম বয়সী মাত্র ৪০ শতাংশ শিশু শুধুমাত্র মায়ের দুধ পান করছে এবং ৪৫ শতাংশ শিশু ২ বছর বয়স পর্যন্ত মাতৃদুগ্ধ পান করে থাকে। তিনি বলেন, শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য মাদেরকে উৎসাহ যোগাতে হবে। মায়ের বুকের দুধের মাধ্যমে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাই সদ্যজাতকে পুষ্টির জোগান দিতে বুকের দুধের কোন বিকল্প নাই। ৬ মাস পর্যন্ত একজন শিশুর তার মায়ের বুকের দুধই যথেষ্ট অন্য কোন বাড়তি খাবারের প্রয়োজন নাই। এর পর ২ বছর বা তারও বেশি বয়স পর্যন্ত পরিপুরক খাদ্যের সঙ্গে নিয়মিতভাবে বুকের দুধ খাওয়ানো যেতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি নবজাতক ও শিশুদের শারীরিক সংকট থেকে মুক্ত করে তাদের বাঁচিয়ে তোলা এবং তাদের স্বাস্থ্য ও শরীরের উন্নতির জন্য মায়ের দুধের প্রয়োজনীয়তার উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। বিজ্ঞপ্তি